সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ২৫ জুন, ১৯৭৫। গণতন্ত্রের ইতিহাসে এক কালো অধ্যায়। ‘রাজনৈতিক’ উদ্দেশ্য পূরণে সেদিন জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী (Indira Gandhi)। তারপর কেটে গিয়েছে কয়েক দশক। দাগ মুছে গেলেও ক্ষত শুকিয়ে যায়নি আজও। বৃহস্পতিবার জরুরি অবস্থার ৪৫তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে সেই কথা স্মরণ করিয়ে দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)।
आज से ठीक 45 वर्ष पहले देश पर आपातकाल थोपा गया था। उस समय भारत के लोकतंत्र की रक्षा के लिए जिन लोगों ने संघर्ष किया, यातनाएं झेलीं, उन सबको मेरा शत-शत नमन! उनका त्याग और बलिदान देश कभी नहीं भूल पाएगा। pic.twitter.com/jlQVJQVrsX
— Narendra Modi (@narendramodi) June 25, 2020
এদিন নিজের টুইটার হ্যান্ডেলে প্রধানমন্ত্রী লেখেন, “আজ থেকে ঠিক ৪৫ বছর আগে দেশে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছিল। সেসময় ভারতে গণতন্ত্রের রক্ষায় যাঁরা লড়াই করেছেন, যাতনা ভোগ করেছেন, তাঁদের শত শত প্রণাম জানাই আমি। দেশ কখনও তাঁদের সেই ত্যাগের কথা ভুলবে না।”
উল্লেখ্য, জরুরি অবস্থা ঘোষণার পর বিজেপির পূর্বসূরী অধুনা ‘জন সংঘ’-এর নেতাদের একের পর এক গ্রেপ্তার করা হয়। সেসময় রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের প্রচারক হিসেবে কাজ করতেন নরেন্দ্র মোদি। গ্রেপ্তারি এড়াতে ‘সর্দার সিং’ ছদ্মনাম নিয়ে একজন শিখ ব্যক্তির পরিচয়ে পুলিশের হাত এড়িয়েছিলেন তিনি। শুধু তাই নয় জর্জ ফার্নান্দেজের মতো নেতাদের লুকিয়ে রাখতেও তাঁর ভূমিকা ছিল।
জরুরি অবস্থা নিয়ে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ৷ এদিন টুইটারে তিনি লেখেন, “কংগ্রেসের নিজেদের সঙ্গেই কথা বলা প্রয়োজন৷ এখনও কেন এমার্জেন্সি মনোভাব? কেন একটি নির্দিষ্ট পরিবারের সদস্য ছাড়া অন্য কোনও নেতা দলে মুখ খুলতে পারেন না? কেন কংগ্রেস নেতারা অবসাদগ্রস্থ ও নিজের দলের উপরে বিরক্ত হয়ে যাচ্ছেন? মানুষের সঙ্গে কংগ্রেসের দূরত্ব আরও বাড়তেই থাকবে৷” সব মিলিয়ে জরুরি অবস্থার অতীত আজ তাড়া করে বেড়াচ্ছে শতাব্দী প্রাচীন দলটিকে। আর নাম না করেও কংগ্রেসকে সেই কালো অধ্যায়ের কথা স্মরণ করিয়ে দিলেন প্রধানমন্ত্রী।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.