ফাইল ছবি।
নন্দিতা রায়, নয়াদিল্লি: প্রাদেশিকতা নিয়ে সংসদে দাঁড়িয়ে কংগ্রেসকে তীব্র কটাক্ষ প্রধানমন্ত্রীর। দেশকে উত্তর-দক্ষিণে ভাগ করার ডাক দিয়েছিলেন কর্নাটকের কংগ্রেস সাংসদ ডি কে সুরেশ। নাম না করে এদিন সেই প্রাদেশিকতাকে নিশানা করলেন নরেন্দ্র মোদি(PM Modi)। তাঁর প্রশ্ন, “এবার উত্তর থেকে দক্ষিণকে আলাদা করার চেষ্টা করছে?”
লোকসভা-রাজ্যসভায় জবাবি ভাষণে বিভিন্ন ইস্যুতে কংগ্রেসকে নিশানা করেছেন প্রধানমন্ত্রী। প্রাদেশিকতা ইস্যুতেও তুলোধোনা করেছেন তিনি। দিন কয়েক আগে লোকসভার সাংসদ ডি কে সুরেশ বলেছিলেন, দক্ষিণ ভারত থেকে কর আদায় করে সেটা উত্তর ভারতে ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। এই ‘অন্যায়’ যদি না শুধরানো হয় তাহলে দক্ষিণের রাজ্যগুলো আলাদা রাষ্ট্রের দাবি জানাতে বাধ্য হবে। উল্লেখ্য, কর্নাটকের উপমুখ্যমন্ত্রী ডি কে শিবকুমারের ভাই এই সুরেশ। নাম না করেই এই মন্তব্যকে নিশানা করেন মোদি। তাঁর কথায়, “এবার উত্তর থেকে দক্ষিণকে আলাদা করার চেষ্টা করছ?”
প্রাদেশিকতাকে নিশানা করতে গিয়ে রাষ্ট্রের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী। তাঁর কথায়, “দেশ একটা মানবশরীরের মতোই। শরীরের প্রতিটা অঙ্গ একে অপরের সঙ্গে সংযুক্ত। পায়ে কাঁটা ফুটলে কি হাত বলে, আমার কী! হাত সঙ্গে সঙ্গে পায়ে পৌঁছে কাঁটা বের করে আনে। দেশও তেমনটা, দেশের এক কোনা ব্যথা পেলে, অন্য প্রান্তও তা অনুভব করবে।” মোদির অভিযোগ, “কিন্তু এটা দুর্ভাগ্যজনক যে একটা ন্যারেটিভ তৈরি করা হচ্ছে। দেশকে ভাঙার চেষ্টা চলছে। একটা গোটা সরকার নেমে পড়েছে এই কাজ করতে।” এই প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর প্রশ্ন, “হিমালয় যদি বলে নদী আমার এখান থেকে সৃষ্টি, জল দেব না, তখন কী হবে? ঝাড়খণ্ডের আদিবাসী শিশু অলিম্পিক জিতলে কি আমরা বলি সে ঝাড়খণ্ডের সন্তান? তার প্রশিক্ষণের জন্য লক্ষ-লক্ষ টাকা খরচ হলে কি বলব ঝাড়খণ্ডের জন্য খরচ হচ্ছে? এটা কোন ধরনের ভাষা বলছি আমরা?” তাঁর আরও সংযোজন, “দেশের এক কোনায় ভ্যাকসিন তৈরি হচ্ছে বলে অন্য শহরের বাসিন্দারা পাবে না, এটা হতে পারে? এধরনের ভাবনাচিন্তা করছি আমরা? একটা জাতীয় রাজনৈতিক দলের তরফে এরকম ন্যারেটিভ তৈরি করা হচ্ছে?”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.