সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ৭৩তম স্বাধীনতা দিবসে দূষণমুক্ত ভারত গড়ার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। গ্লোবাল ওয়ার্মিং নিয়ে উদ্বিগ্ন রাষ্ট্রসংঘ-সহ গোটা বিশ্ব। প্লাস্টিকের ব্যবহার নিয়ে তটস্থ পরিবেশ বিজ্ঞানীরা। আর তাই রোজকার জীবনযাত্রায় প্লাস্টিক বর্জন করার আহ্বান জানালেন মোদি। বৃহস্পতিবার স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে জাতীর উদ্দেশে ভাষণ দেওয়ার সময়ে প্লাস্টিক বিরোধী কমর্সূচির প্রস্তাব পেশ করেন প্রধানমন্ত্রী।
আগামী ২ অক্টোবর প্লাস্টিক বিরোধী কমর্সূচির সূচনা করবেন নরেন্দ্র মোদি। গান্ধীজির জন্মদিনে শুরু হবে মোদির প্লাস্টিক বিরোধী অভিযান। আরও একবার জাতির জনকের জন্মদিনে দূষণমুক্ত দেশ গড়ার নয়া পদক্ষেপের উন্মোচন ঘটাতে চলেছেন তিনি। উল্লেখ্য, ক্ষমতায় আসার পর থেকে প্রায় প্রত্যেক বছরই গান্ধী জয়ন্তীকে ঘিরে নয়া পরিকল্পনা থাকে মোদি সরকারের৷ এর আগেও দূষণমুক্ত পরিবেশ গড়ে তোলার জন্য ‘স্বচ্ছ ভারত’-এর মতো কর্মসূচির সূচনা করেছেন মোদি। গ্লোবাল ওয়ার্মিংয়ের জন্য বিশ্বজুড়ে পরিবেশ বিজ্ঞানীরা বহু বছর আগে থেকেই প্লাস্টিক বর্জন করার কথা বলে আসছেন। এমনকী, বিশ্বের বেশ কিছু দেশে পুরোপুরিভাবে নিষিদ্ধ হয়ে গিয়েছে প্লাস্টিক। কিন্তু ভারত সেই প্রয়াসে এখনও ব্যর্থ৷ এবার নরেন্দ্র মোদিও সেই কর্মযজ্ঞের সূচনা করলেন ভারতে। আগামী ২ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে আনুষ্ঠানিকভাবে সূচনা হবে প্লাস্টিক বিরোধী কমর্সূচির।
“২০২২ সালের আগে পরিবার-পরিজন নিয়ে ঘুরে আসুন ভারতের অন্তত ১৫টি স্থানে। তাহলে দেশের পর্যটন শিল্পের উন্নতি হবে।”
বৃহস্পতিবার প্লাস্টিক বিরোধী কমর্সূচির ঘোষণা করার সময়ে মোদি পাট বা কাপড়ের থলে ব্যবহার করার আহ্বান জানান দেশবাসীকে। তিনি বলেন, “বাজার করতে গেলে ক্রেতারা যেন বাড়ি থেকেই পরিবেশবান্ধব জিনিস দিয়ে তৈরি থলে নিয়ে যান।” পাশাপাশি খুচরো ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে তিনি প্লাস্টিক বিরোধী স্লোগান তুলে বোর্ড লাগানোর নির্দেশ দেন। তিনি বলেন, “ক্রেতাদের উদ্দেশে বোর্ড লাগিয়ে দিন, প্লাস্টিক চাইবেন না।” এছাড়াও প্রয়োজনে মানুষকে থলে উপহার দেওয়া এবং রোজকার জীবনে পাট কিংবা কাপড়ের থলের ব্যবহার বাড়ানোর পরামর্শ দেন তিনি। কারণ পাট ও কাপড়ের থলে ব্যবহার করলে আখেরে দেশের কৃষকরাই লাভবান হবেন। এমনটাই মত প্রধানমন্ত্রীর।
দূষণমুক্ত পরিবেশ গড়ার পাশাপাশি তিনি জল সংরক্ষণের দিকেও নজর দেন। সম্প্রতি দক্ষিণ ভারতের জলসংকট ভাবিয়ে তুলেছিল গোটা দেশকে। এমনকী, হলিউড অভিনেতা লিওনার্দো ডি ক্যাপ্রিও অবধি চেন্নাইয়ের ছবি পোস্ট করে জল সংরক্ষণ করার আবেদন রেখেছিলেন সাধারণ মানুষের কাছে। এবার সেই সংকট মোচনের পদক্ষেপেই আরও একধাপ এগোল মোদি সরকার। ‘জলজীবন মিশন’ নামে নতুন কেন্দ্রীয় প্রকল্প ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী। যার জন্য সরকারি খাত থেকে বরাদ্দ হয়েছে ৩.৩৫ লক্ষ টাকা।
দেশের পর্যটন শিল্প নিয়েও মোদির গলায় শোনা গেল উৎকণ্ঠার সুর। জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেওয়ার সময়ে তিনি দেশবাসীকে বিদেশে ঘুরতে যাওয়ার আগে প্রথমে নিজের দেশের দর্শনীয় স্থানগুলি ঘুরে দেখার আমন্ত্রণ জানান। তিনি বলেন, “২০২২ সালের আগে পরিবার-পরিজন নিয়ে ঘুরে আসুন ভারতের অন্তত ১৫টি স্থানে। তাহলে দেশের পর্যটন শিল্পের উন্নতি হবে।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.