সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রবিবার রামনবমীর দিন দেশের প্রথম ভার্টিক্যাল লিফট সেতুর উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। পুরাণ মতে যে জায়গায় রামসেতুর নির্মাণ হয়েছিল সেই রামেশ্বরমকে দেশের মূল ভুখণ্ডের সঙ্গে জুড়বে পামবান সেতু। এই পামবান সেতুর বিশেষত্ব হল এটি দেশের প্রথম ভার্টিক্যাল লিফট সেতু। সমুদ্রের উপর নির্মিত এই সেতুতে যেমন ট্রেন চলাচল করতে পারবে, তেমনই নিচের সমুদ্র দিয়ে জাহাজ চলাচলেও অসুবিধা হওয়ার কথা নয়।
এমনিতে তামিলনাড়ুর মূল ভুখণ্ডের সঙ্গে রামেশ্বরম বা ধনুষকোটির যোগাযোগের জন্য একটি সাধারণ সেতু রয়েছে। যার উপর দিয়ে যান চলাচল করতে পারে। এছাড়া পুরনো পামবান সেতু রয়েছে। যার উপর দিয়ে ট্রেন চলাচল করতে পারে। এই পুরনো পামবান সেতুটি অবশ্য ২০২২ সালের পর থেকে বন্ধ। এবার সেটার বদলে নতুন পামবান সেতুর উদ্বোধন হল। ২০১৯ সালে শুরু হয় কাজ। রেল বিকাশ নিগম লিমিটেডের নকশায় আধুনিক প্রযুক্তিতে এই সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। সেতুটি নির্মাণে খরচ পড়েছে মোট ৫৩৫ কোটি টাকা।
কী এই সেতুর বিশেষত্ব?
ভারতের মূল ভুখণ্ডের সঙ্গে রামেশ্বরমের সংযোগস্থাপনকারী সেতু পামবান।
নয়া পামবান ব্রিজের দৈর্ঘ্য প্রায় ২.০৮ কিলোমিটার।
দু’প্রান্তের প্রায় ৩৫ মিটার উঁচু স্তম্ভ থেকে সেই সেতুকে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে।
সেতুর মাঝবরাবর ৭২.৫ মিটার লম্বা এবং ৬৪০ টনের উলম্ব অংশ আছে, জাহাজ পারাপারের জন্য যা স্বয়ংক্রিয়ভাবে ১৭ মিটার পর্যন্ত উঁচু হয়ে যাবে।
পুরনো পামবান সেতুও উঁচু করা যেত। কিন্তু সেটা উঁচু করতে ৪৫ মিনিট সময় লাগত। এবার থেকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে নতুন পামবান সেতু সাড়ে ৫ মিনিটেই ১৭ মিটার পর্যন্ত উঁচু হতে পারবে।
উন্নত প্রযুক্তিতে নির্মিত এই সেতুতে ব্যবহার করা হয়েছে স্টেইনলেস স্টিল, স্পেশাল পেইন্ট, এবং এমন উপাদান যা আগামী শতাব্দী অবধি এর স্থায়িত্ব নিশ্চিত করতে পারে।
অত্যাধুনিক প্রযুক্তিতে তৈরি হওয়ায় খুব সহজেই প্রতি ঘণ্টায় ৭৫ কিলোমিটার বেগে এই নতুন রেল সেতু হয়ে ছোটানো যাবে ট্রেনগুলি।
ভারতের মূল ভূখণ্ড থেকে ধনুষকোটি পৌঁছানো যেমন সহজ হবে, তেমনই শ্রীলঙ্কা এখন যেন আরও কাছে চলে আসবে, মাত্র ১২ নটিক্যাল মাইল দূরে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.