Advertisement
Advertisement

Breaking News

লোকসভার আগে প্রচারে ঝড়, ফেব্রুয়ারির মধ্যেই ৫০টি জনসভার পরিকল্পনা মোদির

পরিস্থিতি আন্দাজ করেই প্রচারে জোর!

PM Modi to attend near 50 rallies ahead of LS polls
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:July 13, 2018 12:46 pm
  • Updated:July 13, 2018 12:46 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভোটের বাদ্যি এখনও বাজেনি। কিন্তু এরই মধ্যে ‘ইলেকশন মোডে’ নেমে পড়ল বিজেপি। ২০১৪’ ভোটের আগে দেশজুড়ে প্রচারের ঝড় তুলেছিলেন মোদি। সোশ্যাল মিডিয়া হোক বা জনসভা। সবক্ষেত্রেই তৎকালীন শাসকদল কংগ্রেসকে টেক্কা দিয়েছিল বিজেপি। এবারেও একই পরিকল্পনা গেরুয়া শিবিরের। বিজেপি সুত্রের খবর, ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণার আগে দেশের প্রতিটি প্রান্তে পৌঁছে যেতে চাইছে গেরুয়া শিবির। সেই লক্ষ্যে আগামী বছর ফেব্রয়ারির মধ্যে অন্তত ৫০টি জনসভা করার পরিকল্পনা নিয়েছেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

[সাধারণতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজে প্রধান অতিথি হতে ট্রাম্পকে অনুরোধ মোদির]

বিজেপি সূত্রের খবর, বিজেপির লক্ষ্য ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে গোটা দেশের অন্তত ৪০০টি লোকসভা কেন্দ্রে সরকারি প্রকল্পগুলির প্রচার চালানো। সেই লক্ষ্যে ২টি বা ৩টি লোকসভা পিঁছু একটি করে জনসভার আয়োজন করছে গেরুয়া শিবির। জনসভা গুলিতে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত থাকবেন দলের বর্ষীয়ান নেতারা। এর মধ্যে খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সভা করছেন ৫০টি। অর্থাৎ মোট ১০০টি লোকসভা কেন্দ্রের মানুষের কাছে সরকারি প্রকল্পের সুবিধা সম্পর্কে বক্তব্য রাখবেন খোদ প্রধানমন্ত্রী। গেরুয়া শিবির চাইছে প্রধানমন্ত্রীর ভাবমূর্তিকে কাজে লাগিয়ে ৫০-৫০ আসন বা যে আসনগুলিতে জেতার মতো পরিস্থিতিতে নেই বিজেপি সেই আসনগুলি দখল করতে। মোদি ছাড়াও ৫০টি করে সভা করবেন দলের তিন বর্ষীয়ান নেতা অমিত শাহ, রাজনাথ সিং এবং নীতীন গড়কড়ি। অর্থাৎ, ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণার আগেই মোট ২০০টি নির্বাচনী জনসভা করে ফেলবে বিজেপি। রাজ্য বিজেপি সূত্রের খবর, এরাজ্যেও অন্তত ৫টি জনসভা করবেন মোদি। ইতিমধ্যেই পাঁচটি অঞ্চলও ভাগ করে ফেলেছে রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব।

Advertisement

[থারুরের ‘হিন্দু পাকিস্তান’ মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চাক রাহুল, দাবি বিজেপির]

বিজেপি প্রচার সর্বস্ব, বিরোধীদের এই অভিযোগ নতুন নয়। বিজেপির এই সুবিশাল প্রচার পর্বের পরিকল্পনা সামনে আসার পর সেই একই কথা বলা শুরু করেছেন তাঁরা। বিরোধীদের একাংশ বলছে, প্রশাসনিক ব্যর্থতা ঢাকতে আবারও আত্মপ্রচারের ডঙ্কা বাজাতে চাইছে গেরুয়া শিবির। এত বড় প্রচার পর্বের খরচ কোথা থেকে আসছে তা নিয়েও প্রশ্ন তুলছেন কেউ কেউ। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আসলে সাম্প্রতিক উপনির্বাচনগুলিতে পরাজয়ের পর ১৯’-এ জেতা নিয়ে আর নিশ্চিত নয় গেরুয়া শিবির। তাই আগের বারের মতোই প্রচারে কোনওরকম খামতি রাখতে চাইছেন না অমিত শাহ-রা।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement