সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাজ্যসভায় রাষ্ট্রপতির বক্তব্যের জবাবি ভাষণে ইভিএম ইস্যুতে বিরোধীদের মুণ্ডপাত করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। মোদির দাবি, নির্বাচনে হেরে মানুষের জনাদেশের অপমান করছে কংগ্রেস। বলা হচ্ছে, দেশ হেরেছে, গণতন্ত্র হেরেছে। এভাবে বলা মানে জনাদেশের অপমান করা। ওরা হারটাকে মেনে নিতে পারছে না। ইভিএমে আগেও নির্বাচন হয়েছে, সব রাজনৈতিক দলই জিতেছে। তখন তো ইভিএম নিয়ে কোনও প্রশ্ন ওঠে না।
রাজ্যসভায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, “কয়েক দশক পরে দেশে স্থায়ী এবং মজবুত সরকার তৈরি হয়েছে। এতে বোঝা যাচ্ছে দেশের মানুষ স্থায়ী সরকার পছন্দ করছে।” প্রধানমন্ত্রীর দাবি, ইভিএমকে সন্দেহ করা মানে মানুষের গণতন্ত্রের প্রতি যে বিশ্বাস আছে, সেই বিশ্বাসে আঘাত করার চেষ্টা। এটা কংগ্রেসের উদ্ধত মানসিকতার পরিচয়। মোদি বলেন, “বলা হচ্ছে, এই নির্বাচনে এবারের নির্বাচনে গণতন্ত্র হেরেছে, দেশ হেরে গিয়েছে। তাহলে কী রায়বরেলি-ওয়ানড়েও দেশ হেরেছে। কংগ্রেসের হার মানেই কি দেশের হার? আর দেশ কি এক? আপনাদের দল নিয়ে আপনাদের অহংকার থাকতেই পারে। কিন্তু তারও তো সীমা আছে। আপনারা এভাবে দেশের ভোটারদের অপমান করতে পারেন না। আমার বক্তব্যেও আগ্রাসন থাকে। তবে সেটা আমার দলের জন্য নয়, আমার দেশের জন্য।”
ইভিএম ইস্যুতে মোদি বলেন, “ইভিএম কংগ্রেস আমলেই চালু হয়েছিল। ইভিএমে ভোট শুরু হওয়ার পর ১১৩টি বিধানসভা নির্বাচন হয়েছে। সব দলই তাতে জিতেছে। তখন ইভিএম নিয়ে প্রশ্ন ওঠেনি। আর সেই ইভিএমকেই দায়ী করা হচ্ছে। ইভিএম-ভিভিপ্যাট নিয়ে বারবার আদালতে যাওয়া হচ্ছে। অথচ নির্বাচন কমিশন যখন ইভিএম নিয়ে পরীক্ষা করতে চাইল, তখন এনসিপি-সিপিআই ছাড়া আর কোনও দল গেলই না। একসময় আমাদেরও মাত্র ২ জন সাংসদ ছিলেন। তখন আমরা অজুহাত খুঁজিনি। আত্মসমীক্ষা না করে, ইভিএমকে দোষ দেওয়া কংগ্রেসের অহংকারের বহিঃপ্রকাশ। “
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.