সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লোকসভার জবাবি ভাষণে নানা আছিলায় বিঁধেছিলেন রাহুল গান্ধীকে। রাজ্যসভার জবাবি এবার ভাষণে মা সোনিয়া গান্ধীকে নিশানা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। প্রধানমন্ত্রীর খোঁচা, “যারা রিমোট কন্ট্রোলের সাহায্য বা ‘অটোপাইলট’ মোডে সরকার চালাতো। তাঁরা জানেই না কাজটা কীভাবে করতে হয়।”
২০০৪-২০১৪। ১০ বছর কেন্দ্রে ইউপিএ সরকার চলাকালীন ইউপিএ’র চেয়ারপার্সন ছিলেন সোনিয়া। একই সঙ্গে ন্যাশনাল অ্যাডভাইজরি কমিটির শীর্ষপদেও ছিলেন তিনি। বিরোধীদের অভিযোগ, ওই সময় প্রধানমন্ত্রী পদে মনমোহন সিং (Manmohan Singh) থাকলেও বকলমে সরকার চালাতেন সোনিয়াই। সেই সময় থেকেই ইউপিএ সরকারকে রিমোট কন্ট্রোল সরকার বলে কটাক্ষ করত বিরোধীরা। দীর্ঘদিন বাদে সংসদে সেই পুরনো ইস্যু খুঁচিয়ে তুললেন মোদি।
রাজ্যসভায় প্রধানমন্ত্রী বললেন, “এখানে যারা বসে আছেন তাঁরা অটো পাইলট মোডে নাহয় রিমোট কন্ট্রোলের মাধ্যমে সরকার চালাতে অভ্যস্ত। ওরা কাজ করায় বিশ্বাসই করে না। ওরা শুধু অপেক্ষা করতে জানে।” এর পরই মোদির দাবি, “গত ১০ বছরে মানুষের কাজ করতে চেষ্টার কোনও ত্রুটি রাখেনি সরকার। আর এটা শুধুই শুরুয়াত। আগামী ২০ বছর সরকার থাকবে বিজেপিরই।”
এদিকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ চলাকালীন লোকসভার মতো রাজ্যসভাতেও স্লোগান তোলা শুরু করে বিরোধীরা। আসলে বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে (Mallikarjun Kharge) মোদির বক্তব্যের মধ্যেই জবাব দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনকড় সেই অনুমতি দেননি। খাড়গে বলার অনুমতি না পাওয়ায় বিরোধী শিবির থেকে আওয়াজ ওঠা শুরু করে, ‘বিরোধী দলনেতাকে বলতে দিন।’ মোদি যত বলতে থাকেন, স্লোগান তত বাড়তে থাকে। বিরোধীরা বলা শুরু করেন, ‘আমাদের বলার সুযোগ দিন’, ‘লজ্জা পাওয়া উচিত।’ বিরোধীদের আচরণে ক্ষোভপ্রকাশ করেন চেয়ারম্যান ধনকড়। এর পরই ওয়াকআউট করেন বিরোধীরা। কংগ্রেস-সহ বিরোধী সাংসদদের ওয়াকআউট করতে দেখে কটাক্ষের তির ছোঁড়েন প্রধানমন্ত্রীও। তিনি বলেন, “যারা এতদিন মিথ্যা ছড়িয়ে গেল, তাঁদের সত্যিটা শোনার সাহস নেই।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.