ফাইল চিত্র।
বিশেষ সংবাদদাতা, নয়াদিল্লি: আমেরিকা সফরের পথে সে দেশের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আয়োজিত গ্লোবাল COVID-19 শীর্ষ সম্মেলনে ভ্যাকসিনের সার্টিফিকেটে পারস্পরিক স্বীকৃতির প্রয়োজনীয়তার উপর গুরুত্ব আরোপ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। তিনি বলেন, “আমাদের অতিমারীর অর্থনৈতিক প্রভাব মোকাবিলায় মনোযোগ দিতে হবে। এর জন্যই, ভ্যাকসিন সার্টিফিকেটের পারস্পরিক স্বীকৃতির মাধ্যমে আন্তর্জাতিক ভ্রমণ সহজ করা উচিত।”
India is now running the world’s largest vaccination campaign. Recently, we vaccinated about 25 million people on a single day. Our grassroots-level healthcare system has delivered over 800 million vaccine doses so far. Over 200 million Indians are now fully vaccinated: PM Modi pic.twitter.com/SYRHo1NYq5
— ANI (@ANI) September 22, 2021
বিমান থেকে অংশ নেওয়া পাঁচ মিনিটের ভারচুয়াল ভাষণে তিনি আরও বলেন, “নতুন নতুন ভারতীয় ভ্যাকসিন তৈরি হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমরা চলতি ভ্যাকসিনের (Corona Vaccine) উৎপাদন ক্ষমতাও বাড়িয়ে তুলছি। আমাদের উৎপাদন বৃদ্ধির ফলে অন্যদেরও ভ্যাকসিন সরবরাহ পুনরায় শুরু করতে সক্ষম হব।” সারা বিশ্বে ভ্যাকসিন পৌঁছে দিতে তিনি ভ্যাকসিনের কাঁচামাল সরবারহও সুনিশ্চিত রাখার উপর গুরুত্ব দিয়েছেন।
ভারতে নেওয়া কোভিশিল্ড টিকাকে এখনও তালিকায় রাখেনি ব্রিটেন। তাদের সমস্যা টিকার শংসাপত্র নিয়ে। ভারতে নিযুক্ত ব্রিটেনের হাইকমিশনার জানিয়েছেন, সমস্যা এড়াতে কোউইন অ্যাপ ও ব্রিটেনের এনএইচএস অ্যাপের শংসাপত্রের মধ্যে পারস্পরিক স্বীকৃতি প্রয়োজন। মোদি এদিন এই বিষয়টির দিকেই ইঙ্গিত করেন। কোউইন (CoWin) অ্যাপের শংসাপত্রের স্বীকৃতি ব্রিটেন-সহ অন্যান্য দেশগুলি দিলে ভারতীয়দের বিদেশ ভ্রমণ সহজ হবে। সে কারণে এদিন নাম না করে আন্তর্জাতিক মঞ্চে ব্রিটেনকেই স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন মোদি।
এদিকে আজ, বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মার্কিন সফর শুরু হচ্ছে পাঁচ আন্তর্জাতিক সংস্থার সিইওর (CEO) সঙ্গে বৈঠকের মধ্য দিয়ে। ঠাসা কর্মসূচিতে তিনি একে একে সাক্ষাৎকার রয়েছে কোয়ালকম সিইও ক্রিস্টিয়ানো আর আমন, অ্যাডব চেয়ারম্যান শান্তুনু নারায়েন, ফার্স্ট সোলার সিইও মার্ক উইডমার, জেনারেল অ্যাটমিকস সিইও বিবেক লাল, ব্ল্যাকস্টোন সিইও স্টিফেন এ সোয়ার্জম্যানের সঙ্গে। তাঁদের সঙ্গে ভারতের বর্তমান শিল্প ও বিনিয়োগের পরিবেশ নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি, আমেরিকার নতুন সরকারের আমলে মোদির প্রথম সফরে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ইস্যুতে আলোচনা ছাড়াও দুই দেশের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক আরও মজবুত করার প্রয়াস থাকবে। ২৪ সেপ্টেম্বর প্রথমে বৈঠক রয়েছে ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসের সঙ্গে। ওইদিনই এরপর হোয়াইট হাউসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের (Joe Biden) মুখোমুখী হবেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। বাইডেন ক্ষমতায় এসেই ভারতের সঙ্গে পুরনো সম্পর্কের কথা মনে করিয়ে দিয়ে মোদিকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। সেই আমন্ত্রণ রক্ষা করতেই মোদির এই সফর।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.