ছবি: সংগৃহীত।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ১৯৮২ সালে গান্ধীর জীবনী নিয়ে ছবি তৈরি না হলে মহাত্মা গান্ধীকে কেউ চিনতই না! বিস্ফোরক দাবি করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তাঁর কথায়, দেশের ইতিহাসে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ নাম হলেও আন্তর্জাতিক মহলে গান্ধী পরিচিত ছিলেন না। স্বাধীনতার পরে ৭৫ বছর কেটে গেলেও গান্ধীর নাম বিশ্বের দরবারে তুলে ধরার চেষ্টা করেনি ভারত।
লোকসভা নির্বাচনের (Lok Sabha 2024) একেবারে অন্তিম পর্যায়ে এসে একটি সংবাদসংস্থাকে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানেই বিস্ফোরক মন্তব্য করেন তিনি। মোদির (Narendra Modi) কথায়, “মহাত্মা গান্ধী এই পৃথিবীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ মানুষ। গত ৭৫ বছর আমাদের দায়িত্ব ছিল তাঁর কথা গোটা দুনিয়ার কাছে তুলে ধরা। কারণ গান্ধীর বিষয়ে কেউ জানত না। কিন্তু ক্ষমা করবেন, প্রথমবার গান্ধীকে নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে আলোচনা শুরু হয় যখন ‘গান্ধী’ ছবিটা তৈরি হয়েছিল। আমরা দেশবাসী নিজেরা গান্ধীর কথা প্রচার করিনি।”
এখানেই না থেমে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, বিশ্বের অর্ধেক মানুষ মার্টিন লুথার কিং বা নেলসন ম্যান্ডেলার নাম জানেন। মহাত্মা গান্ধী (Mahatma Gandhi) তাঁদের চেয়ে কোনও অংশে কম নন। তা সত্ত্বেও গোটা বিশ্বের কাছে তিনি অপরিচিত রয়ে গিয়েছেন। মোদির কথায়, গোটা বিশ্ব ঘুরে আসার পরেই তিনি উপলব্ধি করেছেন যে গান্ধীর কথা দুনিয়ার কাছে অজানাই রয়ে গিয়েছে।
মোদির এই বক্তব্যের ভিডিও প্রকাশ্যে আসতেই তীব্র প্রতিবাদ করেছে কংগ্রেস (Congress)। দলীয় নেতা জয়রাম রমেশ এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, “গান্ধীর আদর্শকে ধ্বংসের চেষ্টা করছেন মোদি। উনি এমন এক দুনিয়ায় বাস করেন যেখানে ১৯৮২ সালের আগে কেউ গান্ধীকে চিনত না। কেউ যদি গান্ধীর আদর্শ নষ্ট করে থাকেন, সেটা প্রধানমন্ত্রী নিজেই। কারণ আরএসএস কর্মীরা কোনওদিন গান্ধীর জাতীয়তাবাদ বুঝতে পারে না।” রমেশের মতে, ২০২৪ লোকসভা নির্বাচন আসলে আরএসএস ভক্ত বনাম গান্ধী ভক্তের লড়াই। সেখানে প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর সঙ্গীরা হারবেই। মোদির এই মন্তব্যে খোঁচা দিয়েছেন রাহুল গান্ধীও (Rahul Gandhi)। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লেখেন, “পলিটিক্যাল সায়েন্সের ছাত্রকেই সিনেমা দেখে গান্ধীকে চিনতে হয়।” উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী শিক্ষাগত যোগ্যতা অনুযায়ী তিনি পলিটিক্যাল সায়েন্সে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.