সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দিনকয়েক আগেই অমিত শাহ (Amit Shah) দেশে ইংরেজির বিকল্প হিসেবে হিন্দিকে গ্রহণ করার প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দিয়েছিলেন। শাহর হিন্দি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে দেশের সমস্ত মহল থেকেই সমালোচনার ঝড় উঠেছিল। এই পরিস্থিতিতে অন্য সুর প্রধানমন্ত্রীর গলায়। দেশের বিচার ব্যবস্থাকে আরও উন্নত করতে আঞ্চলিক ভাষা ব্যবহারের উপরেই জোর দিলেন মোদি। শনিবার দিল্লির বিজ্ঞান ভবনে এক সম্মেলনে এমনটাই বলতে শোনা গেল তাঁকে।
ঠিক কী বলেছেন তিনি? বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও হাই কোর্টের বিচারপতিদের যৌথ সম্মেলনে মোদি বলেন, ”আদালতে আঞ্চলিক ভাষা ব্যবহারে জোর দিতে হবে আমাদের। এর ফলে আমজনতার বিশ্বাস বাড়বে দেশের বিচার ব্যবস্থার প্রতি। তাঁরা এর সঙ্গে আরও বেশি করে সংযোগ অনুভব করবেন।”
কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে হিন্দি আগ্রাসনের অভিযোগ আগেও উঠেছে। সেই বিতর্কই নতুন করে উসকে দিয়েছে শাহর সাম্প্রতিক মন্তব্য। ইংরেজির বিকল্প হিসেবে হিন্দিকে গ্রহণ করার আবেদন জানাতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। এরপরই সমালোচনা শুরু হয়। দক্ষিণের রাজ্যগুলি শাহর এহেন হিন্দি আগ্রাসনের প্রতিবাদে সরবও হয়েছিল। তামিলনাডুর মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিন, কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন থেকে শুরু করে কর্ণাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধারামাইয়ার মতো রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ত্ব থেকে শুরু করে সুরকার এ আর রহমানের (A R Rahman) মতো প্রখ্যাত ব্যক্তিরাও শাহর হিন্দি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে সমালোচনায় মুখর হয়েছিলেন। এরপরই শনিবার মোদির এহেন মন্তব্য সেই বিতর্কে রাশ টানার চেষ্টা বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
এদিকে এদিনের সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, দেশে অন্তত ১৮০০ আইন রয়েছে যা আজ অপ্রাসঙ্গিক। কেন্দ্র এই আইনগুলিকে চিহ্নিত করেছে বলেও জানান তিনি। মোদি আরও বলেন, ”কেন্দ্র ইতিমধ্যেই ১৪৫০টি আইন বাতিল করেছে। কিন্তু রাজ্যগুলি মাত্র ৭৫টি আইন বাতিল করেছে।”
এরই পাশাপাশি দেশে বিচারাধীন বন্দিদের মামলাগুলিকে প্রাধান্য দেওয়ার বিষয়ে হাই কোর্টের বিচারপতি ও মুখ্যমন্ত্রীদের কাছে আবেদন জানান মোদি। তিনি বলেন, দেশে প্রায় সাড়ে ৩ লক্ষ বন্দি রয়েছেন। তাঁদের অধিকাংশই দরিদ্র মানুষ। প্রতিটি জেলাতেই জেলা আদালতের বিচারকের নেতৃত্বে একটি করে কমিটি রয়েছে বিষয়টি দেখার। তারা চাইলে ওই বন্দিরা জামিনে মুক্তিও পেতে পারেন। বিষয়টি খতিয়ে দেখতে সকলের কাছে আরজি জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.