সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘ধারাবাহিক বিস্ফোরণের দিন আর নেই’। এই বাক্যবন্ধেই লালকেল্লা থেকে ‘নিরাপদ’ ভারতের ছবি আঁকলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তাঁর সরকারের আমলেই নকশাল সন্ত্রাসে লাগাম টানা হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি। যদিও মোদি সরকারের আমলেই পুলওয়ামা হামলা তথা গালওয়ান সংঘর্ষের সাক্ষী হয় দেশ।
মঙ্গলবার দেশের ৭৭তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আগে আমরা শুনতে পেতাম এখানে বোমা ফাটছে, সেখানে বোমা ফাটছে। সব জায়গায় লেখা থাকত, ‘অজানা জিনিসে হাত দেবেন না’, বিস্ফোরণের আশঙ্কায় ঘোষণা হত। কিন্তু আজ ধারাবাহিক বিস্ফোরণের ঘটনা অতীত। নিরীহদের প্রাণহানির ঘটনা গতকালের কথা হয়ে গিয়েছে। এখন দেশে জঙ্গি হামলার ঘটনা প্রায় হয় না বললেই চলে। নকশাল অধ্যুষিত এলাকাগুলিতেও বিপুল পরিবর্তন এসেছে। আজ বদলের পরিবেশ তৈরি হয়েছে।”
লাদাখে চিনের সঙ্গে সীমান্ত সংঘাতের আবহে এদিন প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আজ দেশের সীমান্ত আগের চেয়ে অনেক বেশি সুরক্ষিত। আমাদের আর্থিক শক্তি বেড়েছে, তাই আমাদের সামরিক শক্তিও নতুন মাত্রা লাভ করেছে। সীমান্তে দাঁড়িয়ে যে জওয়ানরা দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করছেন, যে উর্দিধারীরা দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা নিশ্চিত করছেন, তাঁদের সকলকেই আজ আমি অভিনন্দন জানাই। সেনাবাহিনীর আধুনিকীকরণ হচ্ছে। আমাদের সেনা যুদ্ধপ্রস্তুত রাখতে সময়ের দাবি মেনে ক্রমাগত সংস্কারের কাজ হচ্ছে।”
এদিন পরিবারতন্ত্র, তোষণ ও সন্ত্রাসবাদ নিয়ে কংগ্রেসকে নাম না করে একের পর এক তোপ দাগেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। অপশাসন, সন্ত্রাসদমনে ব্যর্থ বলেও পূর্বতন সরকারকে এক হাত নেন তিনি। তবে প্রধানমন্ত্রীর দাবি সম্পূর্ণ নয়। ২০১৯ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি আত্মঘাতী বিস্ফোরণে কেঁপে উঠেছিল জম্মু-কাশ্মীরের (Jammu and Kashmir) পুলওয়ামা। প্রাণ হারিয়েছিলেন ৪০ জন সেনা জওয়ান। পরে ওই হামলার দায় স্বীকার করেছিল পাকিস্তানি মদতপুষ্ট জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদ (JeM)। ৪ বছর পর আজও টাটকা সেই হামলার দগদগে স্মৃতি। ২০২০ সালে গালওয়ানে লালফৌজের সঙ্গে সংঘাতে শহিদ হন ২০ জন ভারতীয় জওয়ান। অরুণাচল প্রদেশ ও উত্তরাখণ্ডেও বারবার অনুপ্রবেশ করছে চিনা সেনা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.