সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দ্বিতীয় দফায় ক্ষমতায় আসার পর জম্মু-কাশ্মীর (Jammu and Kashmir) থেকে ৩৭০ ধারা প্রত্যাহার মোদি সরকারের অন্যতম বিতর্কিত সিদ্ধান্ত। উপত্যকার রাজনৈতিক দলগুলি যা মেনে নিতে পারেনি। যদিও হাজার বিরোধিতার পরেও ওই ঘটনাকে সাফল্য হিসেবেই তুলে ধরেছে বিজেপি। কদিন আগে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর বলেন, ‘৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের পর উপত্যকায় নয়া সূর্যোদয় হয়েছে।’ মার্কিন পত্রিকা নিউজউইককে দেওয়া সাক্ষাৎকারে একই সুরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi) দাবি করেন, কাশ্মীর থেকে ৩৭০ প্রত্যাহারের ফলে ভূস্বর্গে জঙ্গি কার্যকলাপ কমেছে। মানুষ শান্তির আস্বাদ নিচ্ছে।
একান্ত সাক্ষাৎকারে মোদি আরও দাবি করেন, সংগঠিত হরতাল, পাথর ছোড়ার মতো অনভিপ্রেত ঘটনা এককালে কাশ্মীরের স্বাভাবিক জীবনকে ব্যাহত করত। আজ অতীতের হয়ে গিয়েছে। নিউজউইকের সাংবাদিককে প্রধানমন্ত্রী আহ্বান জানান, উপত্যকায় সফর করুন, নিজে চোখে দেখে আসুন ‘কীভাবে ইতিবাচক পরিবর্তন ঘটেছে।’ গত মাসের শ্রীনগরে সফরের কথা উল্লেখ করে মোদি বলেন, ‘এই প্রথমবার তাদের জীবনে নতুন আশার আলো দেখছে নাগরিকরা। উন্নয়ন, সুশাসন ও জনগণের ক্ষমতায়নের প্রক্রিয়াকে বিশ্বাস করছে মানুষ। শান্তির আস্বাদ নিচ্ছে।’
মোদি জানান, গত বছর কাশ্মীর সফর করেছেন দেশ-বিদেশের ২ কোটি ১ লক্ষ পর্যটক। বহু যুবক খেলাধুলোকে কেরিয়ার করছেন। জয়শংকরের ভঙ্গিতেই মোদি বলেন, ‘৩৭০ ধারা প্রত্যাহার কাশ্মীরে নয়া সূর্যোদয় এনেছে।’ প্রধানমন্ত্রী আরও দাবি করেন, কাশ্মীরি মহিলারা এখন সম্পত্তির উত্তরাধিকার পাচ্ছেন। পুরুষের সমান অধিকার পাচ্ছেন তাঁরা। উল্লেখ্য, ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের বিষয়টি পাকিস্তান ও রাষ্ট্রসংঘের সূত্রে আন্তর্জাতিক বিতর্ক হয়ে ওঠে। এমনকী ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয় বলেও বিরোধিতা করেছিল আমেরিকা। সেই দেশের সাংবাদিককেই ৩৭০ প্রত্যাহারের সাফল্যগাঁথা শোনালেন মোদি।
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে জম্মু-কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা প্রত্যাহার করে কেন্দ্রের মোদি সরকার। পাশাপাশি জম্মু-কাশ্মীরকে ভাগ করা হয় দুই কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে। একটি জম্মু-কাশ্মীর ও অন্যটি লাদাখ। এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতায় একাধিক মামলা হয়েছিল। যদিও গত বছর ডিসেম্বর মাসে পাঁচ বিচারপতির রাজনৈতিক বেঞ্চ সরকারের পক্ষে রায় দেয়। সুপ্রিম কোর্টের বক্তব্য, অনুচ্ছেদ ৩৭০-এ জম্মু ও কাশ্মীরকে যে বিশেষ অধিকার দেওয়া হয়েছিল, তা সাময়িক। কাশ্মীরের গণপরিষদ বাতিল হয়ে যাওয়ার পরেও রাষ্ট্রপতির ওই অনুচ্ছেদ বাতিল করার অধিকার ছিল। ফলে যা হয়েছে, তা অসাংবিধানিক নয়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.