সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কেউ বলেন অযোধ্যার রামমন্দির ঘৃণার ফসল। কেউ বলেন, অযোধ্যার রামমন্দির (Ram Mandir) সংখ্যাগুরুর দাম্ভিকতার প্রতীক। মন্দির উদ্বোধনের দিন দাঁড়িয়ে সেই সব নিন্দুকদের যেন সপাটে থাপ্পড় মারলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। মনে করিয়ে দিলেন, কোনও বিবাদের মাধ্যমে নয়, কারও পেশিশক্তিতে নয়। অযোধ্যায় রামমন্দির প্রতিষ্ঠিত হল ন্যায় এবং সুবিচারের পথেই।
রামমন্দিরের উদ্বোধনের মঞ্চে দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রী আক্ষেপের সুরে বললেন, ভারতের সংবিধানের প্রথম পংক্তিতে ভগবান রাম বিরাজমান। অথচ সেই সংবিধান চালুর পরও বহু দশক প্রভু রামের অস্তিত্ব নিয়ে আইনি লড়াই করতে হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীকে বলতে শোনা গেল, হয়তো আমাদেরই ভক্তিতে ঘাটতি ছিল, তাই মন্দির প্রতিষ্ঠাতে এতটা সময় লেগে গেল। এর পরই প্রধানমন্ত্রী কৌশলে মনে করিয়ে দিলেন, আইনি পথে, আদালতের স্বীকৃতি নিয়েই এই মন্দির প্রতিষ্ঠিত। ঘুরিয়ে মোদি বুঝিয়ে দিলেন, এতদিনে প্রকৃত ন্যায় প্রতিষ্ঠিত হল। প্রধানমন্ত্রী বললেন, “আমি বিচারব্যবস্থার প্রতি কৃতজ্ঞ, এতদিন পর ন্যায়ের সম্মান রক্ষার জন্য। প্রভু রামের মন্দিরও ন্যায়ের পথেই তৈরি হয়েছে। তাই আজ গোটা দেশে রাম দীপাবলি।”
রামমন্দিরের রাজনৈতিক ইতিহাস দীর্ঘ। এ নিয়ে বিস্তর রক্তারক্তি কাণ্ডও রয়েছে। সেসব পিছনে ফেলে এগোতে চান মোদি। মন্দিরে প্রাণপ্রতিষ্ঠার মঞ্চে সেকথাই বোঝালেন প্রধানমন্ত্রী। বললেন, রাম আগুন নন, তিনি শক্তি। রাম বিবাদ নন, রাম সমাধান। রাম উজ্বল ভবিষ্যতের প্রতীক। এটা ভারতের দর্শনের, রাষ্ট্রচেতনার প্রতীক।”
প্রধানমন্ত্রী বুঝিয়ে গেলেন, তাঁর প্রস্তাবিত রামরাজ্যে কোনও বিভেদ থাকবে না। আমরা ওরার ভাগ থাকবে না। মোদি (Narendra Modi) বললেন, “রাম শুধু আমাদের নয়, রাম সবার। রাম শুধু বর্তমান নয়, রাম অনন্তকাল। রাম ভারতের আস্থা, রাম ভারতের আধার, রাম ভারতের চেতনা, রাম ভারতের চিন্তন। হাজারও বছর বছরের জন্য রামরাজ্যের স্থাপনা হল।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.