সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: যোশিমঠ (Joshimath) ঘিরে আতঙ্ক বেড়েই চলেছে। উত্তরাখণ্ডে পাহাড়ের কোলে ছোট্ট এই শহরজুড়ে এখন কেবলই ফাটল। যা ক্রমেই চওড়া হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি ঘোষণা করে দিলেন, এই জনপদ বসবাসের উপযুক্ত নয়। এখানকার পৌর এলাকাগুলিকে ‘বিপর্যস্ত’ তকমা দেওয়া হয়েছে। পরিস্থিতি এতটাই গুরুতর, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নিজে ফোন করে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ধামির কাছে।
ধামি টুইটারে জানিয়েছেন, মোদি তাঁকে ফোন করে সব খবর নিয়েছেন। এলাকার বাসিন্দাদের নিরাপত্তা ও তাঁদের পুনর্বাসন সংক্রান্ত বিষয়ে খুঁটিনাটি খোঁজ করেছেন তিনি। এদিন দুপুরেই প্রধানমন্ত্রীর (PM Modi) দপ্তরে একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক ডাকা হয়। সেখানে ‘ডুবন্ত শহর’ যোশিমঠ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।
आज आदरणीय प्रधानमंत्री श्री @narendramodi जी ने जोशीमठ के संदर्भ में दूरभाष के माध्यम से वार्ता कर प्रभावित नगरवासियों की सुरक्षा व पुनर्वास हेतु उठाए गए कदमों एवं समस्या के समाधान हेतु तात्कालिक तथा दीर्घकालिक कार्य योजना की प्रगति के विषय में जानकारी ली।
— Pushkar Singh Dhami (@pushkardhami) January 8, 2023
এদিকে যোশিমঠ নিয়ে মামলা পৌঁছে গিয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। জ্যোতির্মঠের শংকরাচার্য অভিমুক্তেশ্বরানন্দ শীর্ষ আদালতের আরজি জানিয়েছেন, এই সংকটকে ‘জাতীয় বিপর্যয়’ হিসেবে ঘোষণা করা হোক। ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের আর্থিক সাহায্য দেওয়ার আরজিও জানিয়েছেন তিনি। জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকে কাজে নামার অনুরোধও করেছেন শংকরাচার্য। পাশাপাশি অপরিকল্পিত নগরায়নকে কাঠগড়ায় তুলে কার্যতই রাজ্যের বিজেপি সরকারকে তোপ দেগেছেন তিনি।
এই পরিস্থিতিতে যে কোনও সময় বড়সড় ভাঙনের মুখে পড়তে পারে দেবভূমি। ফাটল দেখা দিয়েছে ৫৬১টি বাড়িতে। ফাটল দেখা দিয়েছে অবস্থিত যোশিমঠ-মালারি সড়কেও। ভারত-চিনের সীমান্তের খুব কাছে অবস্থিত এই রাস্তাজুড়ে নানা স্থানেই দেখা যাচ্ছে বড় বড় ফাটল।
দীর্ঘদিন ধরেই যোশিমঠের বাসিন্দাদের দাবি ছিল, যেভাবে ফাটল দেখা দিচ্ছে এখানে, তাতে বিপর্যয়ের আশঙ্কা ক্রমেই বাড়ছে। তাই এখান থেকে পুনর্বাসন দিতে হবে তাঁদের। কিন্তু অভিযোগ ছিল উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি প্রশাসন সেই দাবিতে কান দিচ্ছে না। কিন্তু সম্প্রতি ফাটল ঘিরে আতঙ্ক বাড়তে থাকায় যোশিমঠ খালি করে দেওয়ার কাজ শুরু করা হয়েছে। প্রস্তুত রাখা হচ্ছে চপারও।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.