সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ১৭ তম লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশের পরেই বিজেপির ক্ষমতা ফেরা নিশ্চিত হয়ে যায়। এরপরই নিজের টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে ‘চৌকিদার’ শব্দটি সরিয়ে ফেলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তাঁর দেখানো পথেই হাঁটেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহও। আর এরপর একে একে সমস্ত বিজেপি নেতারা নিজেদের টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে ‘চৌকিদার’ শব্দটি সরিয়ে নেন।বৃহস্পতিবার ভোটের ফল প্রকাশ পেতেই প্রধানমন্ত্রী টুইট করেন, “দেশের জন্য অনেক আত্মত্যাগ করেছেন সাধারণ নাগরিকরা। তাঁদের এই আত্মত্যাগকে সম্মান জানাই।”
তিনি আরও দাবি করেন, “ভারতের নাগরিকরা চৌকিদার হিসেবে দেশের প্রচুর সেবা করেছেন। ‘চৌকিদার’ আসলে একটি শক্তিশালী প্রতীক যা দেশের মধ্যে থাকা জাতপাতের ভয়াবহতা দূর করবে। দূর করবে সাম্প্রদায়িকতা, দুর্নীতি এবং স্বজনপোষণকেও। এখন এই ‘চৌকিদার’ স্পিরিটকে পরবর্তী পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার সময় এসেছে। প্রতি মুহূর্তে এই উদ্যমকে পরের ধাপে উত্তীর্ণ করতে হবে। সেইসঙ্গে চালিয়ে যেতে হবে ভারতকে উন্নত করার প্রক্রিয়াও। ‘চৌকিদার’ শব্দটি আমার টুইটার অ্যাকাউন্ট সরানো হলেও এটি আমার অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ হিসেবে রয়ে যাবে। আপনাদের সবার কাছে আমি একই কাজ করার অনুরোধ করব।” তাঁর এই টুইটের পরেই কেন্দ্রীয় বস্ত্রমন্ত্রী স্মৃতি ইরানি ও রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল-সহ অন্য মন্ত্রীরা নিজেদের টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে ‘চৌকিদার’ শব্দটি সরিয়ে দেন।
গত ৩১ মার্চ ‘ম্যায় ভি চৌকিদার’ ক্যাম্পেনিং শুরু করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তারপর তাঁর নির্দেশে বিজেপির প্রায় সব নেতা-কর্মীই নিজেদের টুইটার অ্যাকাউন্টে ‘চৌকিদার’ শব্দটি ব্যবহার করতে শুরু করেন। ৩১ মার্চ দিল্লির তালকোটরা স্টেডিয়ামে ‘ম্যায় ভি চৌকিদার’ সম্মেলনে ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী।
Now, the time has come to take the Chowkidar Spirit to the next level.
Keep this spirit alive at every moment and continue working for India’s progress.
The word ‘Chowkidar’ goes from my Twitter name but it remains an integral part of me. Urging you all to do the same too!
— Narendra Modi (@narendramodi) May 23, 2019
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.