সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভোটপ্রচারে সেনাকে ব্যবহার করে এবার কমিশনের শাস্তির মুখে পড়তে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে ‘NDTV’ এমনটাই দাবি করছে। ওই সংবাদমাধ্যমের সূত্রের খবর অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রীর একাধিক ভাষণের ক্লিপিং খতিয়ে দেখছে কমিশন। এনডিটিভি সূত্রের তরফে দাবি করা হয়েছে, শীঘ্রই কমিশন মোদির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে চলেছে।
সম্প্রতি একাধিক জনসভায় প্রধানমন্ত্রীকে দেখা গিয়েছে, বালাকোট এয়ারস্ট্রাইক এবং পুলওয়ামার জঙ্গি হামলার আবেগকে কাজে লাগিয়ে ভোটারদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করছেন। বিরোধীরা অন্তত এমনটাই অভিযোগ করছে। তাদের অভিযোগ, বালাকোট এয়ারস্ট্রাইকের পর নরেন্দ্র মোদি কর্মসংস্থান, কৃষক সমস্যার মতো ইস্যু ছেড়ে দেশপ্রেম আর জাতীয়তাবাদের আবেগকেই ভোটপ্রচারের হাতিয়ার করেছেন। নিজেকে মজবুত এবং বিরোধীদের মজবুর হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা করেছেন বারবার। এ প্রসঙ্গে উল্লেখ করা যেতে পারে, প্রথম ভোটের দিন দুয়েক আগে মহারাষ্ট্রের একটি সভা থেকে প্রধানমন্ত্রী সরাসরি যুবসমাজকে পুলওয়ামার শহিদদের নামে ভোট দিতে আহ্বান করেছিলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আপনাদের প্রথম ভোট কি ওই বীর জওয়ানদের কথা ভেবে দেওয়া যেতে পারে না? এরপরই একাধিকবার কমিশনের দৃষ্টি আকর্ষণ করার চেষ্টা করে কংগ্রেস এবং সিপিএম।
নির্বাচন কমিশনের তরফে মঙ্গলবার জানানো হয়েছিল প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগ খতিয়ে দেখছে কমিশন। বুধবার নাম জানাতে অনিচ্ছুক নির্বাচন কমিশনের এক আধিকারিক এনডিটিভিকে জানিয়েছেন, খুব শীঘ্রই কমিশন একটা ব্যবস্থা নিতে চলেছে। ভোট শেষ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করা হবে না।” উল্লেখ্য, ভোট ঘোষণার আগেই কমিশন সাফ জানিয়ে দিয়েছিল কোনও রাজনৈতিক দল বা নেতা সেনার সাফল্যকে ভোটের ময়দানে কাজে লাগাতে পারবে না। সম্প্রতি, মায়াবতী, যোগী আদিত্যনাথ, আজম খান, মানেকা গান্ধী, নভজ্যোৎ সিধুর মতো নেতাকে শাস্তি দিয়েছে কমিশন। নির্দিষ্ট সময়ের জন্য তাদের প্রচারে নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছিল। মোদির ক্ষেত্রেও তেমনটাই হতে পারে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.