সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তথ্য পাচারের মতো গুরুতর অভিযোগ উঠেছে ফেসবুক, টুইটার, হোয়াটসঅ্যাপের মতো সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটগুলির বিরুদ্ধে৷ যা নিয়ে তোলপাড় হয়েছে বিশ্ব৷ এমত পরিস্থিতিতে তথ্যের বেআইনি ব্যবহার রুখতে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে মাইক্রো ব্লগিং সাইট টুইটার৷ সন্দেহজনক ও জাল অ্যাকাউন্টগুলি খোঁজ করে তা বন্ধ করে দিচ্ছে সংস্থাটি৷ আর এটাই বিপদে ফেলল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীকে৷ কেন জানেন?
[মুম্বইয়ে আটক ভারতী ঘোষের দেহরক্ষী সুজিত মণ্ডল ]
টুইটারকে জনসংযোগের অন্যতম হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করে থাকেন সমস্ত রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব থেকে শুরু করে সেলেবরা৷ প্রধানমন্ত্রী মোদি ও কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী তো খুবই জনপ্রিয় টুইটারে৷ কিন্তু হঠাৎই ধস নামল তাঁদের টুইটার অ্যাকাউন্টের ফলোয়ার্স সংখ্যায়৷ না তাঁদের জনপ্রিয়তা কমে গিয়েছে তেমনটা নয়, আসল কারণ হল টুইটার কর্তৃপক্ষের এই সাফাই অভিযান৷ যেখানে টুইটারে প্রধানমন্ত্রী মোদির আগে ফলোয়ার্স ছিল ৪৩.৪ মিলিয়ন৷ এই সাফাই অভিযানের মুখে পড়ে এক ধাক্কায় সংখ্যাটা বর্তমানে কমে দাঁড়িয়েছে ৪৩.১ মিলিয়নে৷ অর্থাৎ প্রধানমন্ত্রীর ফলোয়ার্সের তালিকায় থাকা প্রায় তিন লক্ষ অ্যাকাউন্টকে বন্ধ করে দিয়েছে টুইটার কর্তৃপক্ষ৷ কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীর টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকেও একই ভাবে বাদ পড়েছে প্রায় ১৭ হাজার ফলোয়ার্স৷
[লাদাখে নিখোঁজ পেম্বা শেরপা, আটবারের এভারেস্টজয়ীর খোঁজে চলছে অভিযান]
কেবল মোদির নিজস্ব টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকেই ফলোয়ার্স কমেনি৷ পাশাপাশি, প্রায় দেড় লক্ষ ফলোয়ার্স কমেছে পিএমও-র টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকেও৷ টুইটার কর্তৃপক্ষের পদক্ষেপের মুখে পড়তে হয়েছে আরও বেশ কয়েকজন রাজনীতিবিদকে৷ যাঁদের মধ্যে অন্যতম, কংগ্রেস নেতা শশী থারুর, বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল ও জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহ৷ কেবল জাতীয় ক্ষেত্রে নয়, আন্তর্জাতিক স্তরেও এর প্রভাব পড়েছে মারাত্মক৷ গত কয়েকদিনে প্রায় এক লক্ষ ফলোয়ার্স খুইয়েছেন বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং চার লাখ ফলোয়ার্স কমেছে প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার অ্যাকাউন্ট থেকে৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.