সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কৃষ্ণ উত্তরপ্রদেশে জন্মে গুজরাটকে তাঁর কর্মভূমি করে তুলেছিলেন। আর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি গুজরাটেরই ভূমিপত্র। কিন্তু তাঁর কর্মক্ষেত্র উত্তরপ্রদেশও বটে। এভাবেই কৃষ্ণের প্রসঙ্গ টেনে ভোটের আসর মাতালেন প্রধানমন্ত্রী।
নির্বাচনে বিজেপিকে ধাক্কা দিতে জোট বেঁধেছে কংগ্রেস ও সপা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দুই তরুণ নেতার এই জোটে যথেষ্ট অস্বস্তিতে বিজেপি। কেননা জাতপাত বা ধর্মভিত্তিক রাজনীতি এবারে অন্তত প্রত্যাখান করতে চলেছেন সাধারণ মানুষ। বদলে উন্নয়নকে তাঁরা অনেক গুরুত্ব দিচ্ছেন। মানুষের সেই প্রত্যাশা বুঝেছেন পোড় খাওয়া রাজনীতিবিদ নরেন্দ্র মোদি। দলের গ্রহণযোগ্যতার মুখও যে তিনিই, তাঁর থেকে ভাল তা আর কেউ জানেন না। তাই ভোটের আসর মাতাতে তাঁর কর্মযজ্ঞের বিজ্ঞাপনটিই তুলে ধরলেন। টেনে আনলেন কৃষ্ণের প্রসঙ্গ। কৃষ্ণের জন্মভূমিই যে তাঁর কর্মভূমি সে কথা বুঝিয়ে দিলেন। জানালেন, উত্তরপ্রদেশের মানুষ তাঁকে সন্তানের চোখেই দেখেন। আর তিনি কখনও মা-বাবার সঙ্গে প্রতারণা করবেন না। খোঁচাটা অবশ্যই ছিল অখিলেশ যাদবের জন্য। সাম্প্রতিক অতীতে ভারতীয় রাজনীতিতে বড় জায়গা দখল করে ছিল যাদব পরিবারের দ্বন্দ্ব। বাবা মুলায়ম সিং যাদবের সঙ্গে অখিলেশের মতবিরোধ নানা চমকপ্রদ চিত্রনাট্যের জন্ম দিয়েছে উত্তরপ্রদেশ রাজনীতিতে। কিন্তু সে সব ছাপিয়েও এগিয়ে গিয়েছেন অখিলেশ। কংগ্রেসের সঙ্গে জোট বেঁধে বিজেপিকে ধাক্কা দিতে তিনি তৈরি। শতাংশের হিসেবে কংগ্রেস-সপার ভোট এবং সেই সঙ্গে সংখ্যালঘু ভোট যোগ হলে বিজেপি যে বিপাকে পড়বে এমনটাই মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা। সে আশঙ্কা থাকাতেই আগেভাগেই ধর্ম সরিয়ে উন্নয়ন ও আত্মিক সম্পর্কের জায়গাটি তুলে ধরলেন মোদি।
তিনি যে গরিবদের পাশে তাও জানাতে ভুললেন না। বললেন, তিনি নিজে ভাল জানেন দারিদ্র কী জিনিস। তাই গরিবদের পাশ থেকে তিনি কখনও সরবেন না। নোটবন্দির চোট যে নির্বাচনে বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে তা আঁচ করেই এদিন আনলেন মিথ্যাচারের অভিযোগ। জানালেন, বিরোধীরা নোটবন্দি নিয়ে মিথ্যে কথা বলছে, কিন্তু তা টিকবে না। কৃষ্ণ থেকে উন্নয়ন, সম্পর্ক থেকে দারিদ্রমুক্তি- প্রচারের কোনও তাসই সামনে ফেলতে দ্বিধা করেননি। তবে তাতে ভোটের হাওয়া ঘুরবে কি? আপাতত সে প্রশ্নই বড় হয়ে দেখা দিচ্ছে রাজনৈতিক মহলে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.