প্রণব সরকার, আগরতলা: পড়শি দেশের সঙ্গে যোগাযোগ আরও মজবুত করে মঙ্গলবার ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে ‘মৈত্রী সেতু’-র উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এছাড়া, ত্রিপুরায় (Tripura) একাধিক উন্নয়নমূলক প্রকল্পেরও উদ্বোধন করেন তিনি।
ত্রিপুরা ও বাংলাদেশের মধ্যে প্রবাহিত ফেনি নদীর উপর ‘মৈত্রী সেতু’ তৈরি করা হয়েছে। ত্রিপুরার সাব্রুম অঞ্চল এবং বাংলাদেশের রামগড়ের মধ্যে তৈরি এই সেতুটির দৈর্ঘ ১.৯ কিলোমিটার। এই প্রকল্পে খরচ হয়েছে প্রায় ১৩৩ কোটি টাকা। জাতীয় সড়ক ও পরিকাঠামো উন্নয়ন পর্ষদ এই সেতু তৈরি করেছে। এদিন ভারচুয়ালি এই সেতুর উদ্বোধন করে প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, “দেশের উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলির জন্য ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে তৈরি এই সেতুটির গুরুত্ব অপরিসীম। দুই দেশের মধ্যে এটি নয়া বাণিজ্য পথ হয়ে উঠবে।” প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, “ভারত ও বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক এবং বন্ধুত্বের প্রতীক হিসেবেই ‘মৈত্রী সেতু’ নাম দেওয়া হয়েছে। ভারত ও বাংলাদেশের বাণিজ্য এবং মানুষের সঙ্গে মানুষের যোগাযোগ বৃদ্ধির ক্ষেত্রে একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা করবে এই সেতু।”
এদিন, সেতু উদ্বোধনের পাশাপাশি ত্রিপুরার উনকোটি জেলার সদর শহর কৈলাশহরের সঙ্গে খোয়াইয়ের জেলাসদরের সংযোগকারী ২০৮ নম্বর জাতীয় সড়কের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী। এর ফলে ৪৪ নম্বর জাতীয় সড়কের বিকল্প পথ তৈরি হবে। উল্লেখ্য, ২০৮ নম্বর জাতীয় সড়ক তৈরির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে জাতীয় সড়ক ও পরিকাঠামো উন্নয়ন পর্ষদকে। এই সড়ক তৈরির খরচ ধরা হয়েছে ১ হাজার ৭৮ কোটি টাকা। এছাড়া ত্রিপুরায় আরও কয়েকটি সড়ক, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় তৈরি হওয়া ৪০ হাজার ৯৭৮টি বাড়ি উদ্বোধনও করেন মোদি। এদিকে, ‘মৈত্রী সেতু’ নিয়ে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। ভিডিও কনফারেনসিংয়ের মাধ্যমে হাসিনা জানান, এই সেতুটির মাধ্যমে ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক মজবুত করতে ঢাকার সদিচ্ছা স্পষ্ট।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.