সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ঐতিহাসিক বড়ো চুক্তির পর শুক্রবার অসমে পা রাখলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এদিন গুয়াহাটি বিমানবন্দরে অবতরণের পর কোকরাঝাড় রওনা দেন নমো।
এদিন কোকরাঝাড়ের জনসভায় রীতিমতো আক্রমণাত্মক সুর শোনা যায় প্রধানমন্ত্রীর গলায়। বক্তব্যের শুরুর দিকেই রাহুল গান্ধীর ‘ডান্ডা ভাঙার’ মন্তব্যের পালটায় নমো বলেন, “অনেক সময় আমাকে ডান্ডা মারার কথা বলা হয়। কিন্তু যে মোদির কাছে এত মা-বোনের রক্ষাকবচ আছে, ডান্ডা মারলেও তার কিছু হবে না।” তারপরই বড়ো জনগোষ্ঠীর উদ্দেশে বার্তা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “NDFB’, অল বড়ো স্টুডেন্টস ইউনিয়ন, বিটিসি প্রধান হগ্রামা মহিলালি ও অসম সরকারের মিলিত প্রয়াসেই এই শান্তি প্রক্রিয়া সম্ভব হয়েছে। এবার অসম ও উত্তর-পূর্বে স্থায়ী শান্তি ফিরবে। আর হিংসা ও হানাহানি হবে না। আগে মানুষ অসমে আসতে ভয় পেতেন। আগের সরকার কখনও উত্তর-পূর্বের উন্নয়নের কথা ভাবেনি। আমাদের সরকার বড়ো এলাকার জন্য ১ হাজার ৫০০ কোটি টাকার প্যাকেজ বরাদ্দ করেছে। এবার অসমে বিদেশি বিনিয়োগ আসছে।”
PM Modi: Today is the day to acknowledge the support of all the young people belonging to All Bodo Students Union (ABSU), National Democratic Front of Bodoland (NDFB), BTC Chief Hagrama Mohilary & Assam Govt, who played a very positive role for this agreement. #BodoPeaceAccord pic.twitter.com/s6eYrq24vN
— ANI (@ANI) February 7, 2020
নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের (CAA) প্রতিবাদে উত্তাল অসমে তাৎপর্যপূর্ণভাবে এদিন দেখা যায় ভিন্ন ছবি। বড়ো জনগোষ্ঠী অধ্যুষিত কোকরাঝাড়ের রাস্তা ছেয়ে যায় ‘স্বাগতম প্রধানমন্ত্রী’ ব্যানারে। নমোর ভাষণ শুনতে জনসভায় হাজির হন কয়েক লক্ষ মানুষ।বিশ্লেষকদের মতে, ‘বড়ো চুক্তি’র মলমে কিছুটা হলেও CAA ক্ষতের জ্বালা জুড়িয়েছে। এছাড়াও ‘বড়ো টেরিটোরিয়াল রিজিয়ন’ সংবিধানের ষষ্ঠ তফসিলভুক্ত হওয়ায় স্থানীয় জনবিন্যাসে শরণার্থীদের ‘সাংস্কৃতিক’ তথা ‘ভাষিক’ প্রভাব তেমন একটা পড়বে না। পাশাপাশি, কুখ্যাত জঙ্গি সংগঠন ‘ন্যাশনাল ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্ট অফ বড়োল্যান্ড’ বা NDFB’র সমস্ত শাখাগুলিকে এক জায়গায় এনে শান্তি প্রক্রিয়া সম্ভব করায় এক রক্তাক্ত বিদ্রোহে ইতি পড়েছে। এতে খুশি গোটা অসমের মানুষ।
উল্লেখ্য, গত ২৭ জানুয়ারি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের উপস্থিতিতে বড়ো সংগঠন এনডিএফবি এবং অল বড়ো স্টুডেন্টস ইউনিয়নের সঙ্গে শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরিত করে কেন্দ্র ও অসম সরকার। বড়ো জনগোষ্ঠীর উন্নয়নের জন্য একাধিক শিক্ষা, চিকিৎসা, কারিগরী প্রতিষ্ঠান স্থাপন করা হবে বলেও জানিয়েছে কেন্দ্র। পাশাপাশি, অসমের আরও এক জঙ্গি সংগঠন উলফা (স্বাধীন)-এর সঙ্গেও শান্তি প্রক্রিয়ার আশা দেখা গিয়েছে। আগামী এপ্রিল মাসের মধ্যেই এই শান্তি প্রক্রিয়া শুরু হতে পারে বলে জল্পনা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.