সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ৪৮ ঘণ্টা আগেই কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী দাবি করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি হিন্দুত্ব মানেন না। হিন্দুত্বের মৌলিক ধারণা তাঁর নেই। এবার রাহুলের সেই মন্তব্যের পালটা দিলেন মোদি। তিনি বললেন, “রাহুল নিজেকে হিন্দুদের ঠিকাদার ভাবছেন। উনি ভাবছেন, উনি যতটা হিন্দুত্ব বোঝেন, সাধু সন্তরাও অত বোঝেন না।”
ভোটের মরশুমে এতদিন হিন্দুত্বের বুলি শোনা যাচ্ছিল কংগ্রেস এবং বিজেপির মাঝারি মাপের নেতাদের মুখে। এবার সম্মুখ সমরে নেমে পড়লেন খোদ মোদি-রাহুল। কে বেশি বড় হিন্দু? এটাই যেন প্রামাণ্য বিষয়। সার্বিক উন্নয়ন-জনস্বার্থের ইস্যু এখন গৌণ। ধর্মই হয়ে উঠছে ভোট দেওয়ার একমাত্র শর্ত। দিন দুই আগে রাজস্থানের একটি সভায় রাহুল গান্ধী দাবি করেছিলেন, নরেন্দ্র মোদির হিন্দুত্ব সম্পর্কে মৌলিক ধারণাটুকুও নেই। তিনি ভাবেন তাঁরা আশেপাশে যাঁরা আছেন, তাদের সবার থেকে তিনিই বেশি জ্ঞানী। কিন্তু গীতা অনুসারে, জ্ঞান সর্বত্র ছড়িয়ে আছে। সবার কাছ থেকেই তা আহরণ করা যায়।” রাহুলের এই মন্তব্যের পরই হৈ চৈ পড়ে যায় দিল্লির রাজনীতিতে। একযোগে আসরে নামেন বিজেপির নেতামন্ত্রীরা। তবে, আসল জবাবটা এল মোদির কাছ থেকেই। প্রধানমন্ত্রী বললেন, “যে কংগ্রেস রামের অস্তিত্বেই বিশ্বাস করে না তারাই নিজেদের হিন্দুদের ঠিকাদার বলে দাবি করছে। জওহরলাল নেহেরু একসময় সোমনাথ মন্দির তৈরিরও বিরোধিতা করেছিলেন। আসলে ওরা নিজেদের খুব বড় জ্ঞানী ভাবছেন। হিন্দুত্বের সবটা জানি, এমনটা বড় বড় সাধু সন্তরাও দাবি করতে পারেন না।”
এদিকে, হিন্দুত্বের পর আবারও স্বজনপোষণ এবং কৃষকদের সমস্যা নিয়ে মোদির মুণ্ডপাত করেছেন কংগ্রেস সভাপতি। এদিন রাহুল বলেন, “মোদি ভারতকে দু’ভাগে ভাগ করে ফেলেছেন। একটা অনিল আম্বানির জন্য। যিনি কোনও জাহাজ না বানিয়েই ৩০ হাজার কোটির রাফালের বরাত পান। আরেকটা কৃষকদের জন্য। যেখানে একজন কৃষক ৭৫০ কেজি পেঁয়াজের দাম পান ১ হাজার ৪০ টাকা।” রাহুলের এদিনের মন্তব্যেই স্পষ্ট। ধর্মের পাশাপাশি, রাফালে এবং কৃষক ইস্যুকেও কংগ্রেস আগামী নির্বাচনে হাতিয়ার করতে চাইছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.