সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তখনও তিনি প্রবল প্রতাপাণ্বিত নরেন্দ্র মোদি হয়ে ওঠেননি৷ প্রধানমন্ত্রীর কুরসি তো দূরের কথা, সংগঠনের সাধারণ একজন প্রচারক তিনি৷ সেই সময়ই একে একে বিজেপি নেতাদের উপর নেমে আসছে গ্রেপ্তারির খাঁড়া৷ অথচ কৌশলে গা-ঢাকা দিতে পেরেছিলেন তিনি৷ শিখ সেজেই শাসকের নজর এড়িয়ে গিয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদি৷
[ ‘সিরিয়ার থেকেও দেশে যখন বেশি ধর্ষণ, তখন প্রধানমন্ত্রী বাগানে ব্যায়াম করছেন!’ ]
দেশে তখন জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন ইন্দিরা গান্ধী৷ যে দিনটিকে আজও দেশের গণতন্ত্রের ইতিহাসে কালো দিন হিসেবে ব্যাখ্যা করেন অনেকে৷ এমনকী এ বছর কেন্দ্রের শাসক দলও দিনটিকে কালা দিবস হিসেবে পালন করেছে৷ বিজেপির নেতা-মন্ত্রীরা একযোগে জরুরি অবস্থার কথা সামনে এনেছেন৷ আজ মুম্বইয়ে এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী জানান, শুধু কংগ্রেসকে আক্রমণ করার জন্যই তাঁরা এই দিনটিকে কালা দিবস হিসেবে পালন করতে চাইছেন তা নয়৷ বরং দেশের তরুণ প্রজন্মকে সে সময়ের কথা জানাতেই এই উদ্যোগ৷ একধাপ এগিয়ে প্রকাশ জাভড়েকর বলেন, আগামিদিনের শিশুদের এ ইতিহাস জানতে জরুরি অবস্থা এবার সিলেবাসেও অন্তর্ভুক্ত করার পরিকল্পনা নিচ্ছে কেন্দ্র৷ তবে এদিন মোদির কথায় জরুরি অবস্থা নিয়ে আক্রমণের অর্থ আরও স্পষ্ট হল৷ কেন বিজেপি এই দিনটিকে বিশেষভাবে তুলে আনছে তা কথায় কথায় জানিয়ে দিলেন প্রধানমন্ত্রী৷ তাঁর শাসনকালকে অনেকেই জরুরি অবস্থার সঙ্গে তুলনা করেন৷ এদিন মোদি পালটা তোপ দেগে বলেন, যাঁরা একসময় গণতন্ত্রকে জেলে পাঠিয়েছিল, আজ তারাই মোদির বিরুদ্ধে গণতন্ত্রে হস্তক্ষেপের অভিযোগ আনছে৷
We are not observing black day(Emergency) just to criticize the Congress, we want to make the youth of today aware of what happened: PM Narendra Modi pic.twitter.com/WgExEeJf79
— ANI (@ANI) June 26, 2018
The country never thought that just for lust for power and servility to one family, India would be made into one big jail. Every person lived in fear. Constitution was misused: PM Modi on Emergency pic.twitter.com/gdpMZjdHzw
— ANI (@ANI) June 26, 2018
এই জরুরি অবস্থার সঙ্গে মোদিরও যোগ ওতপ্রোত৷ সে সময় আরএসএস-এর সাধারণ প্রচারক ছিলেন মোদি৷ বিরোধীদের ধরে ধরে জেলে পোরা হচ্ছে৷ মোদিও হয়তো সে কোপ থেকে রক্ষা পেতেন না৷ তবে তাঁর চেহারার জন্য সে যাত্রা রক্ষা পেয়ে গিয়েছিলেন তিনি৷ শিখ সেজেই শাসক দলের নজর এড়িয়েছিলেন তিনি৷ যে সমস্ত বই সে সময় নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল তা বড় নেতাদের হাতে পৌঁছে দেওয়াই ছিল তাঁর কাজ৷ সন্ন্যাসীর ছদ্মবেশেই সে কাজ করেছিলেন মোদি৷
They never imagined that corruption charge could be framed against them in court and they would have to seek bail. So now they are trying to scare the judiciary by bringing impeachment motion. Their mentality now is the same as it was during Emergency: PM Modi pic.twitter.com/qaEk59vmeF
— ANI (@ANI) June 26, 2018
When Kishore Kumar ji refused to sing for them, his songs and films were not allowed to be broadcast or played on the radio: PM Narendra Modi on emergency pic.twitter.com/ckyleEqXxG
— ANI (@ANI) June 26, 2018
The party which has no internal democracy cannot be expected to follow the ideals of a democracy: PM Narendra Modi in Mumbai pic.twitter.com/KMxgb6kbPg
— ANI (@ANI) June 26, 2018
এদিনের অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখার সময়ও বারবার করে তাই তাঁর কথায় ফিরে এল সেই পুরনো আমলের স্মৃতি৷ কিশোরকুমারকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা থেকে একাধিক ইস্যুতে কংগ্রেসকে প্রকারন্তরে কোণঠাসাই করলেন মোদি৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.