সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শান্তি প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল ইমরান খান ভোটে জেতার পর থেকেই। ভোটে জয়ের পর প্রাথমিক প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে পাক প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন শান্তি ফেরানোর লক্ষ্যে ভারত এক পা এগোলে পাকিস্তান এগোবে ২ ধাপ। ইমরানের বক্তব্যের পর ফোনে তাঁকে শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদিও। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ীর মৃত্যুর পরও শান্তির পক্ষে সওয়াল করেন ইমরান। তিনি বলেন, “অটলজিকে সম্মান জানানোর জন্য আমাদের উচিৎ শান্তি প্রক্রিয়া শুরু করা।” এই শুভেচ্ছা বিনিময়ের ধারা অব্যাহত। ইমরান খান শপথ নেওয়ার পর ফের তাঁকে শুভেচ্ছা জানালেন মোদি। এবারে চিঠি লিখে।
পাকিস্তানের নব নির্বাচিত বিদেশমন্ত্রী শাহ মহম্মদ কুরেশির দাবি, চিঠি লিখে ইমরান খানের সঙ্গে আলোচনা করার প্রস্তাব দিয়েছেন মোদি। কুরেশি দাবি করেন, “চিঠিতে মোদি আলোচনার প্রস্তাব দিয়েছেন। আমরা ভেবে দেখছি।” যদিও, ভারতের তরফে এই দাবি অস্বীকার করা হয়েছে। ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রক জানিয়েছে, মোদি ইমরানকে চিঠি লিখেছেন ঠিকই। কিন্তু আগ বাড়িয়ে আলোচনার আবেদন তিনি জানাননি। চিঠিতে মোদি লিখেছেন, “আমরা শান্তিপূর্ণ প্রতিবেশী হিসেবে থাকতে পারি। আমাদের উচিৎ গঠনমূলক এবং অর্থবহ পদক্ষেপ করা। পাকিস্তান এই মন্তব্যকেই আলোচনার আহ্বান হিসেবে বর্ণনা করতে চাইছে।” এরপর পিছিয়ে আসতে বাধ্য হয় পাকিস্তান। বিবৃতি দিয়ে পাক সরকার জানায়, মোদি আলোচনার দাবি জানান নি। তবে তাঁরা আলোচনায় আগ্রহী।
এদিকে শুরুতে শান্তির কথা বললেও এখন আবার ধীরে ধীরে খোলস ছাড়া শুরু করেছেন ইমরান খান। নিজের দেশে বসে ইমরান মন্তব্য করেছেন, কাশ্মীর একটি জ্বলন্ত সমস্যা, আর ভারতের উচিৎ এই সমস্যার দায় স্বীকার করে নেওয়া। এই মন্তব্যের পর ইমরানের সদিচ্ছা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে এদেশের কূটনৈতিক মহল।
প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নেওয়ার পর মোদি নিজে পাকিস্তানের সঙ্গে শান্তি প্রক্রিয়া শুরুর চেষ্টা করেছিলেন। এমনকী বিনা আমন্ত্রণে প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের জন্মদিনে তাঁকে শুভেচ্ছা জানাতে পাকিস্তানে চলে যান মোদি। সেসময় বেশ সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছিল প্রধানমন্ত্রীকে। এবারেও আগ বাড়িয়ে চিঠি লেখায় মোদির সমালোচনায় সরব হয়েছে কংগ্রেস।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.