Advertisement
Advertisement

পাকিস্তানে ফিরুক গণতন্ত্র, ইমরানকে ফোনে অভিনন্দন আশাবাদী মোদির

স্বাভাবিক হবে দুই দেশের সম্পর্ক?

PM Modi congratulates Imran Khan On election Victory
Published by: Saroj Darbar
  • Posted:July 31, 2018 9:03 am
  • Updated:July 31, 2018 9:03 am  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারত-পাক সম্পর্ক স্বাভাবিক হবে কি না, তা কোটি টাকার প্রশ্ন। নির্ভর করছে আন্তর্জাতিক রাজনীতির বহু জটিল সমীকরণের উপর। তবে বিগত কয়েক বছর ধরেই দেখা যাচ্ছে দুই দেশের নেতারাই অন্তত ব্যক্তিগত স্তরে সম্পর্ক ভাল রাখার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। সেই বার্তা দিয়েই পাকিস্তানের সম্ভাব্য প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে ফোনে শুভেচ্ছা জানালেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

জল্পনার অবসান, ১১ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নিচ্ছেন ইমরান খান ]

Advertisement

ভারত এক কদম এগোলে, পাকিস্তান এগোবে দু-পা। সদ্য সমাপ্ত নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ার পরই এ বার্তা দিয়েছিলেন পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ পার্টির সুপ্রিমো তথা সম্ভাব্য প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক ভাল রাখার একটা ইঙ্গিত ছিল তাঁর বক্তব্যে। রাজনৈতিক সৌজন্য মেনেই তাঁকে অভিনন্দন জানান মোদি। সূত্রের খবর, ১১ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নেবেন ইমরান। পাকিস্তানের ইতিহাসে এ এক নব অধ্যায়ের সূচনা বলেই মনে করছেন অনেকে। কারণ পাকিস্তানের জনগণ তীব্রভাবে প্রত্যাখ্যান করেছেন সমস্ত সন্ত্রাবাদী ও বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীগুলিকে। এই নির্বাচনে কুখ্যাত জঙ্গি হাফিজ সইদ সংক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেছিল। নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল তাঁর ছেলে। হাফিজ নিজেও প্রচার চালিয়েছিল। তবে জনগণের রায়ে মুখ পুড়েছে তাঁদের। সেদিক থেকে পাকিস্তানে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় ইমরানের জয় বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। যদিও ইমরানের এই জয়ের নেপথ্যে পাক সেনা ও আইএসআই-এর হাত আছে বলেই রাজনৈতিক মহলের একাংশের বিশ্বাস। সেক্ষেত্রে ভারতের সঙ্গে শান্তির সম্পর্ক প্রতিষ্ঠায় হয়তো সমস্যাই হবে। তবে পাকিস্তানের স্বার্থেই ভারতের সঙ্গে শান্তিপ্রক্রিয়া প্রতিষ্ঠার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন ইমরান। মোদি-ইমরান কথোপকথন তাই এক্ষেত্রে বিশেষ গুরুত্বের দাবি রাখে।

পাক সেনার জুতো পালিশের লোক, ইমরানকে কটাক্ষ রেহামের ]

ফোনে মোদি বলেন, ইমরানের জয় পাকিস্তানের মাটিতে গণতন্ত্রের শিকড়কে মাটি দেবে। এমনটাই আশা রাখেন তিনি। পালটা ইমরান বলেন, দুই দেশ মিলে একটি পরিকল্পনা নেওয়া হবে, যাতে সাধারণ মানুষ দারিদ্র্যের ফাঁদ থেকে মুক্তি পান। এর আগেও ইমরান বলেছিলেন যে যুদ্ধ ও রক্তপাত কেবল দুঃখেরই জন্ম দেয়। বরং কথোপকথনের মাধ্যমেই সংকট মেটানো সম্ভব। ইমরানের ইঙ্গিত মেনেই কথোপকথান ও রাজনৈতিক সৌজন্যের প্রক্রিয়া শুরু করে দিল ভারত।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement