সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনা আবহে স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠান। জাতির উদ্দেশে লালকেল্লা থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণে করোনা মোকাবিলা গুরুত্ব পাবে, সেটাই স্বাভাবিক। তেমনটাই হল। তবে তাঁর সরকারের অন্যান্য প্রসঙ্গও নিয়েও ব্যাখ্যা দিতে ভুললেন না প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। মহামারীর সঙ্গে যুদ্ধ করেও দেশে শিক্ষানীতি সংস্কার হয়েছে। ৩৪ বছর পর তৈরি হয়েছে নতুন শিক্ষানীতি। এই সংস্কার যে কত জরুরি ছিল এবং তা কতটা আধুনিক, স্বাধীনতা দিবসের ভাষণে ফের সেকথা বোঝালেন মোদি।
লালকেল্লা থেকে ভাষণে প্রধানমন্ত্রী বললেন, ”নতুন ভারতের জন্য শিক্ষা অত্যন্ত জরুরি। সেদিকে তাকিয়েই নতুন শিক্ষানীতির প্রণয়ন, যা ভারতীয় শিক্ষার্থীদের বিশ্ব নাগরিক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার পথ সহজ করবে। বিশ্ব শিক্ষা ব্যবস্থার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই নতুন শিক্ষানীতি তৈরি হয়েছে।” জাতীয় শিক্ষানীতি (NEP 2020) নিয়ে শিক্ষামহলের একাংশ প্রশ্ন তুলেছিল যে গ্রামগঞ্জে এই শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করার ক্ষেত্রে কতটা পরিকাঠামো রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী এদিন তারও উত্তর দিয়ে দিলেন। বললেন, ”গ্রামে গ্রামে অপটিক্যাল ফাইবার পৌঁছে যাবে। এক হাজার দিনের মধ্যে এই পরিষেবা পাবেন প্রত্যেক গ্রামবাসী। অনলাইন শিক্ষায় আর কোনও বাধা থাকবে না।” তিনি বোঝালেন, পরিকল্পনা ছাড়া শিক্ষানীতির সংস্কার হয়নি। দেশের প্রতিটি প্রান্তে যাতে নতুন শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করা যায়, সেই ব্যবস্থা করার দায়িত্বও নিয়েছে কেন্দ্র। কেউ বঞ্চিত হবেন না আধুনিক শিক্ষার আলো থেকে।
বিরোধী রাজনৈতিক মহলের অভিযোগ, নতুন জাতীয় শিক্ষানীতি এমনভাবে তৈরি হয়েছে, যাতে শিক্ষা বিষয়টিকে সুকৌশলে কেন্দ্রের আওতাধীন করার পথ প্রশস্ত হচ্ছে। সেই অভিযোগের সরাসরি উত্তর না দিয়েও প্রধানমন্ত্রী ঘুরিয়ে বার্তা দিলেন, এর মধ্যে রাজনীতি খোঁজা অর্থহীন। বিশ্বের দরবারে ভারতের গুরুত্ব বোঝাতে এবং ‘আত্মনির্ভর ভারত’এর অংশ হিসেবেই এই নীতি স্থির করা হয়েছে। টানা ৩৪ বছরের খোলনলচে পালটে দেওয়া নতুন শিক্ষাব্যবস্থার গুরুত্ব নিয়ে প্রধানমন্ত্রী আগেও বক্তব্য রেখেছেন। তবে স্বাধীনতা দিবসে তাঁর ব্যাখ্যা যে আলাদা গুরুত্ব পাচ্ছে, তা বলাই বাহুল্য।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.