সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী ‘মন কি বাত’ বললেন। কিন্তু কিছুই শুনলেন না। এভাবেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (PM Modi) কটাক্ষ করলেন ঝাড়খণ্ডের (JharKhand) মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন (Hemant Soren)। বৃহস্পতিবার রাতে টুইটারে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর ফোনালাপ নিয়ে এভাবেই ক্ষোভ উগরে দিতে দেখা গেল তাঁকে।
ঠিক কী লিখেছেন তিনি? শ্লেষাত্মক ভঙ্গিতে সোরেন লিখেছেন, ‘‘আজ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ফোন করেছিলেন। উনি কেবল ওঁর ‘মন কি বাত’ করলেন। ভাল হত যদি কাজের কথা বলতেন ও কাজের কথা শুনতেন।’’ করোনার (Coronavirus) দ্বিতীয় ঢেউয়ের ধাক্কায় গোটা দেশ বিপর্যস্ত। ঝাড়খণ্ডও ব্যতিক্রম নয়। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের প্রশাসনের অভিযোগ, যে সাহায্য কেন্দ্রের থেকে পাওয়ার কথা তা তারা পাচ্ছেন না। বৃহস্পতিবার রাতে ঝাড়খণ্ডের কোভিড পরিস্থিতি নিয়েই কথা বলতে ফোন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা ফলপ্রসূ হল না বলেই অভিযোগ হেমন্ত সোরেনের।
ঝাড়খণ্ডের স্বাস্থ্য সচিব অরুণ সিং আগেই অভিযোগ করেছিলেন, এখনও পর্যন্ত তাঁদের কাছে রেমডেসিভির-এর মাত্র ২,১৮১ ভায়াল এসে পৌঁছেছে। অথচ চাহিদা এর থেকে অনেক বেশি। তাঁর কথায়, ‘‘আর কোনও সাহায্যই এসে পৌঁছয়নি। আমরা চাই বাংলাদেশ থেকে ৫০ হাজার রামডেসিভির-এর ভায়াল আমদানি করতে। কিন্তু এখনও অনুমতি মেলেনি।’’
এদিকে এমাসের গোড়া থেকেই ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে টিকাকরণ শুরু করার কেন্দ্রীয় নির্দেশও মানতে পারছে না ঝাড়খণ্ড। টিকার ঘাটতি থাকাতেই এই পরিস্থিতি। তবে ঝাড়খণ্ডে অক্সিজেনের সরবরাহে কোনও ঘাটতি নেই। বরং উৎপাদনের পরিমাণ অনেক বেশি। যেখানে দৈনিক চাহিদা মাত্র ৮০ টন, সেখানে তারা উৎপাদন করছে ৬৮০ টন অক্সিজেন। কিন্তু সমস্যা অন্যত্র। অক্সিজেন রাখার সিলিন্ডার বা অন্য আধারের ঘাটতি রয়েছে। গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রুপানিকে সাহায্য চেয়ে চিঠি লিখেছিলেন হেমন্ত সোরেন। কিন্তু সাড়া মেলেনি।
স্বভাবতই সব মিলিয়ে অস্বস্তিতে রাজ্যের প্রশাসন। এদিকে লাফিয়ে বাড়ছে সংক্রমণ। মৃতের সংখ্যা প্রায় সাড়ে তিন হাজার ছুঁইছুঁই। মোট সংক্রমণ ছাড়িয়ে গিয়েছে আড়াই লক্ষ। এই পরিস্থিতিতে ১৩ মে পর্যন্ত প্রায় লকডাউনের মতোই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে ঝাড়খণ্ডে। যে করে হোক সংক্রমণের রাশ আলগা করাই এখন প্রাথমিক লক্ষ্য।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.