বিশেষ সংবাদদাতা, নয়াদিল্লি: দেশে পেট্রল (Petrol) ১০০ পার করল। লাগাতার দামবৃদ্ধির ধারা বজায় রেখে বুধবার আরও মহার্ঘ্য হল পেট্রল-ডিজেল। স্বাভাবিকভাবে জ্বালানির দাম একশোর গণ্ডি পার হওয়াতে কেন্দ্রের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছে বিরোধী শিবির। তারই পালটা জবাব দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। এই মূল্যবৃদ্ধির কারণ হিসাবে পূর্বতন সরকারকেই দায়ী করেছেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী অবশ্য সরাসরি পেট্রল-ডিজেলের দামবৃদ্ধির কথা মুখে উচ্চারণ করেননি। কিন্তু কী বিষয়ে তাঁর বক্তব্য তা বুঝতে অসুবিধা হয়নি। বুধবার তামিলনাড়ুতে (Tamil Nadu) গ্যাস প্রকল্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখার সময়েই তিনি মন্তব্য করেন, পূর্বতন সরকারগুলি দেশের শক্তিক্ষেত্রে আমদানি কম করার দিকে নজর দিলে এই অবস্থা হত না। ভারতকে যে শক্তিক্ষেত্রে আমদানির উপরেই অনেকটা নির্ভর করতে হয় তা বোঝাতে ২০১৯-২০ সালে দেশের প্রয়োজনীয় ৮৫ শতাংশই এবং গ্যাসের ৫৩ শতাংশই আমদানি করতে হয়েছিল বলে উল্লেখ করেছেন তিনি।
তারপরই পূর্বতন সরকার তথা কংগ্রেসের দিকে নিশানা সেধে মোদি বলেছেন, “আমাদের কি আমদানির উপর এতটা নির্ভরশীল হওয়া উচিত? আমি কারও সমালোচনা করতে চাই না। কিন্তু এটা অবশ্যই বলতে চাই যে আগে এবিষয়ে নজর দেওয়া হলে আজ মধ্যবিত্তকে এই বোঝা বহন করতে হত না। তাই শক্তিক্ষেত্রে নির্ভরতা কমানোকে আমরা অবশ্য কর্তব্য বলেই মনে করছি।”
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার দিনই কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী (Raul Gandhi) পেট্রোপণ্যের দামবৃদ্ধি নিয়ে কেন্দ্র সরকারকে কটাক্ষ করেছিলেন। প্রধানমন্ত্রী সেই বিষয়টিকে মাথায় রেখে নাম না করে কংগ্রেসের (Congress) সমালোচনা করলেন বলেই মনে করা হচ্ছে। তবে দেশে একমাত্র ভারতকে শক্তিক্ষেত্রে স্বনির্ভর করে তুলে আমদানি কম করাই যে তাঁর সরকারের লক্ষ্য, সেকথা এদিন বারবারই উল্লেখ করেছেন প্রধানমন্ত্রী। কীভাবে শক্তিক্ষেত্রে আমদানির উপর নির্ভর কম করা সম্ভব এদিন সে বিষয়েও দিকনির্দেশ করেছেন তিনি। ‘সবুজ শক্তি’র উপর জোর দেওয়ার পরামর্শও দিয়েছেন।
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আখ থেকে উৎপাদিত ইথানল একদিকে যেমন কৃষকদের খরচ কম করতে সাহায্য করবে, তেমনই তাদের আয়বৃদ্ধির সহায়ক হবে। ২০৩০ সালের মধ্যে ভারত তার প্রয়োজনীয় শক্তির ৪০ শতাংশই উৎপাদন করবে বলেও এদিন দাবি করেছেন প্রধানমন্ত্রী। পাশাপাশিই প্রাকৃতিক গ্যাসকে যে খুব শীঘ্রই জিএসটির আওতায় নিয়ে আসা হবে এদিন সেই বার্তাও দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.