সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পিএম-কেয়ার্স তহবিলের সঙ্গে কেন্দ্রের কোনও সম্পর্ক নেই। এই তহবিল সম্পূর্ণ প্রধানমন্ত্রীর নামে। ঠিকানাও প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর। কেন্দ্র এতে হস্তক্ষেপ করে না। দিল্লি হাই কোর্টকে এমনটাই জানাল কেন্দ্রীয় সরকার।
পিএম কেয়ার্স (PM CARES) তহবিল তৈরির পর থেকেই এর স্বচ্ছতা নিয়ে একাধিকবার সরব হয়েছে বিরোধীরা। এমনকী এই খাতের অর্থ কোথায় খরচ করা হচ্ছে, কীভাবেই বা হিসেব রাখা হয়, তা জানতে একটি মামলা করা হয়। তারই উত্তরে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের আন্ডার সেক্রেটারি প্রদীপ কুমার শ্রীবাস্তব একটি হলফনামা জমা দেন দিল্লি হাই কোর্টে। সেখানেই তিনি দাবি করেন, এই তহবিলে স্বেচ্ছায় অনুদান জমা পড়ে। সংবিধান বা সংসদ গঠিত আইনের মাধ্যমে এই তহবিল তৈরিও করা হয়নি। স্বচ্ছতা বজায় রাখতে কম্পট্রোলার অডিটর জেনারেল অফ ইন্ডিয়ার তরফে তহবিলটির অডিট করা হয়।
গত বছর মার্চ মাসে দেশে করোনার প্রকোপ বাড়লে সাধারণ মানুষকে সাধ্যমতো আর্থিক সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। তখনই তৈরি হয়েছিল পিএম কেয়ার্স। যেখানে কোভিড মোকাবিলায় জমা পড়তে থাকে অনুদান। প্রধানমন্ত্রীর পাশাপাশি এই তহবিলের চেয়ারম্যান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, প্রতিরক্ষামন্ত্রী, অর্থমন্ত্রী তহবিলের অছি পরিষদের সদস্যও। কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারী, রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার কর্মীদের বেতন কমিয়ে এই তহবিলে টাকা জমা করা হয়েছিল। এছাড়াও বিভিন্ন মন্ত্রকের তরফেও কোটি কোটি টাকা অনুদান আসে।
সেই তহবিলের স্বচ্ছতা নিয়েই বারবার অভিযোগ উঠেছে। পিএম কেয়ার্সের অর্থ কোথায় যাচ্ছে, এখান থেকে কোভিডে মৃতদের পরিবারকে সাহায্য করা হচ্ছে কি না ইত্যাদি নানা প্রশ্ন তোলা হয়েছে। তবে তথ্যের অধিকার আইনে পিএম কেয়ার্সের জমা-খরচ নিয়ে কোনও তথ্য দিতে চায়নি প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর। বলা হয়েছে এটি পাবলিক চ্যারিটেবল ট্রাস্ট। কোনও সরকারি সংস্থা নয়। দিল্লি হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি এন প্যাটেলের বেঞ্চে আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর মামলার পরবর্তী শুনানি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.