সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রশ্ন উঠেছিল তিনি চুপ কেন? দেশ জ্বলছে রবিবার রাত থেকেই তবুও তাঁর কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। সেই তিনি, দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আজ, বুধবার মুখ খুললেন দিল্লির হিংসায় ২১ জনের মৃত্যুর পর। তিনি দেশবাসীর কাছে শান্তি বজায় রাখার আবেদন করেন।
বুধবার সকালে দিল্লির হিংসাশ্রয়ী আন্দোলনে কারফিউ জারি হয় ৪ জায়গায়। সেনা নামানো নিয়ে তরজা শুরু হয় কেজরিওয়াল ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর মধ্যে, আসরে নামেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল। এরপর টু্ইটে নরেন্দ্র মোদি লেখেন, “দিল্লির বিভিন্ন প্রান্তের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেছি। শান্তি ও সহাবস্থান বজায় রাখতে দিল্লি পুলিশ ও অন্য সংস্থাগুলি একত্রে কাজ করছে। শান্তি ও ভ্রাতৃত্ববোধ ভারতের সংস্কৃতির অধীনে। ভারতীয় সকল ভাইবোনেদের শান্তি বজায় রাখার আবেদন জানাই।”
Peace and harmony are central to our ethos. I appeal to my sisters and brothers of Delhi to maintain peace and brotherhood at all times. It is important that there is calm and normalcy is restored at the earliest.
— Narendra Modi (@narendramodi) February 26, 2020
এদিন সকালেই দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল দিল্লিতে সেনা নামিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করার আবেদন করেন। টুইট করে মুখ্যমন্ত্রী জানান, “দিল্লির একাধিক মানুষের সঙ্গে কথা হয়েছে। রাজধানীর বেশিরভাগ এলাকার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে আমার বিনিত আবেদন আপনি দিল্লিতে সেনা মোতায়েন করুন। পরিস্থিতি ক্রমশ দিল্লি পুলিশের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে। দিল্লির ৪টি জায়গা ছাড়াও বাকি কিছু জায়গাতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সেনার প্রয়োজন।”
রবিবার রাত থেকেই অগ্নিগর্ভ হয়ে রয়েছে রাজধানী। লাঠি হাতে একদিকে স্লোগান, “দেশকে গদ্দারোকো গোলি মারো সালো কো।” তো অন্যদিকে তরোয়াল হাতে চিৎকার, “আজাদি চাহিয়ে আজাদি, ছিন লেঙ্গে আজাদি।” এমত অবস্থায় দিল্লি শান্ত হওয়ার পরিবর্তে যে উত্তেজনা যে আরও ছড়াবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। কিন্তু তা সত্ত্বেও আগাম কোনও ব্যবস্থা না নিয়ে নীরব ছিলেন প্রধানমন্ত্রী। ব্যস্ত ছিলেন ট্রাম্প সফরকে ঘিরে। আগামী ৪৮ ঘণ্টার জন্য পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে উত্তর-পূর্ব দিল্লির জাফরাবাদ, মউজপুর, সিলামপুর, গোকুলপুরীতে কড়া নজরদারি জারি করা হয়েছে। বাকি এলাকাগুলিতে মোতায়েন করা হয়েছে আধাসেনা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.