সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিজেপিকে হটাতে গোপন বৈঠক করে কংগ্রেস-পাকিস্তান। গুজরাট নির্বাচনের প্রচারে নরেন্দ্র মোদির এই হুল বিরোধীদের এক লহমায় ঐক্যবদ্ধ করে দিল। সংযমী মনমোহন সিং পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীকে ক্ষমা চাইতে বলেছেন। লালুপ্রসাদ যাদব কেন ঠান্ডা থাকবেন। পাক কার্ড নিয়ে আরজেডি সুপ্রিমোর বিদ্রুপ, পাঠানকোট বিমানঘাঁটিতে আসলে আইএসআই পিকনিক করতে এসেছিল। আর তা হয়েছে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীর অনুমতিতে।
[নারকীয় হত্যা নাকি গুজব, যুবকের মৃত্যুকে ঘিরে কর্নাটকে কং-বিজেপি চাপানউতোর]
He goes uninvited to Pakistan,allows it’s notorious agency ISI to picnic in our sensitive Pathankot airbase, calls Pakistan PM in oath ceremony, gifts him generously still Pakistan is bad.If you hate Pakistan then Why don’t you end Most Favoured Nation status given to Pakistan?
— Lalu Prasad Yadav (@laluprasadrjd) December 11, 2017
সিবিআই থেকে ইডি। গত কয়েক মাসে মামলা-মোকদ্দমায় কার্যত নাজেহাল বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। প্যাঁচে পড়া লালুপ্রসাদ এই সুযোগে নরেন্দ্র মোদিকে আক্রমণ করে বসেন। তবে আর পাঁচজন রাজনীতিবিদের তুলনায় লালুর শব্দচয়ন বরবারই আলাদা। এদিন টুইটারে মোদির পাক-কংগ্রেস বৈঠক নিয়ে তীব্র বিদ্রুপ করেন লালু। মোদির নাম না করে লালু লেখেন, ‘‘উনি বিনা নিমন্ত্রণেই পাকিস্তানে চলে গিয়েছিলেন। তারপর সে দেশের ভয়ঙ্কর সংস্থা আইএসআই আমাদের পাঠানকোট বিমানঘাঁটিতে এসে পিকনিক করে গেল। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীকে তিনি শপথগ্রহণে ডেকেছিলেন। পাকিস্তানের মতলব ভাল নয় জেনেও উপহারে ভরিয়ে দিলেন। আপনি যদি প্রতিবেশীকে ঘৃণাই করেন তবে পাকিস্তান কেন এখনও মোস্ট ফেবারড নেশনের মর্যাদা পাচ্ছে? ’’ প্রধানমন্ত্রীকে নিশানা করে লালুর এই টুইটে শোরগোল পড়েছে। আরজেডি সুপ্রিমোর স্পষ্ট ইঙ্গিত পাকিস্তানের সঙ্গে বন্ধুত্ব পাতাতে মোদি ব্যাকুল হলেও এর পরিনামে ভারত ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার সাক্ষী হয়েছে। আর পাকিস্তান নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বিদ্বেষ আসলে লোক দেখানো। গুজরাট ভোট আসতেই তিনি তাই পাকিস্তান কার্ড খেলেছেন। আচমকা তিনি বুঝে গেলেন পাকিস্তানকে ব্যবহার করে কংগ্রেস বিজেপিকে হটাতে চাইছে। তাকে সুপারি দেওয়া হয়েছে।
[‘জয় শাহর কীর্তি সামনে আসতেই দুর্নীতি নিয়ে নীরব মোদি’]
লালুর টুইট বাণের পর তাঁর ছেলে তেজস্বীও কৌশলে মোদিকে বিঁধেছেন। লালু পুত্র ২ বছর আগের একটি টুইট সামনে আনেন। সেখানে দেখা যায় ২০১৫ সালের ক্রিসমাসে আচমকা লাহোরে নেমেছিলেন মোদি। পাক প্রধানমন্ত্রীর মেয়ের বিয়েতে কী দুর্দান্ত অভিজ্ঞতা হয়েছে তা টুইটে লিখেছিলেন মোদি। সেই টুইট তুলে ধরে তেজস্বীর প্রশ্ন তখন যদি কেউ মোদি-শরিফের বৈঠকের উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন তুলতেন তাহলে প্রধানমন্ত্রী কি তাকে ছেড়ে দিতেন? মোদির পাকিস্তান এই নিয়ে উপলব্ধি আসলে লোকদেখানো বলে তেজস্বী মনে করেন। প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহে গুজরাটের এক জনসভায় কার্যত প্রমাণ ছাড়াই মোদি অভিযোগ করেছিলেন বিজেপিকে হটাতে পাকিস্তানের আধিকারিকদের সঙ্গে গোপন বৈঠক করে করে কংগ্রেসের প্রথম সারির নেতৃত্ব। এই কথায় আঁতে ঘা লেগেছিল প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের। রীতিমতো সিংহগর্জনের মতো হুঙ্কার দিয়েছিলেন মনমোহন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.