সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাজার থেকে ডিম কিনে নিয়ে গিয়ে নাকাল হয়েছিলেন কলকাতার এক গৃহবধূ। কেননা ডিম ভাজার সময়ই তা প্লাস্টিকের মতো কুঁকড়ে যাচ্ছিল। এমনকী প্লাস্টিক পোড়া গন্ধও বেরচ্ছিল। সে ঘটনার রেশ মিটতে না মিটতে এবার ছড়াল প্লাস্টিক চালের আতঙ্ক। হায়দরাবাদ ও উত্তরাখণ্ডের বিভিন্ন অঞ্চলে দেখা মিলল কৃত্রিম চালের। এমনকী বাচ্চারা চালের ‘বল’ নিয়ে ক্রিকেটও খেলল।
[ নিয়ম ভাঙায় বাধা, পুলিশকেই চড় বিজেপি বিধায়কের ]
কৃত্রিম উপায়ে তৈরি এই চাল বা ডিম বিক্রির অভিযোগ নতুন নয়। এর আগেও ভারতের বিভিন্ন বাজারে কৃত্রিম ডিম ও চাল বিক্রির ঘটনা সামনে এসেছে। প্রতিবারই অভিযোগের আঙুল ছিল চিনের বিরুদ্ধে। বিভিন্ন মহলের দাবি, চিন থেকেই সুকৌশলে ভারতীয় বাজারে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে এই কৃত্রিম জিনিস। বিশেষজ্ঞরা বলেন, এই ধরনের চাল বা ডিম তৈরির খরচ অনেক বেশি। তা সত্ত্বেও তা কীভাবে বাজারে বিকোচ্ছে? অভিযোগ, আসলে এই ধরনের চাল বা ডিম ঢুকিয়ে ভারতীয় বাজারের স্বাভাবিক ভারসাম্য নষ্ট করারই প্রয়াস চলছে।
[ পরকীয়ার জেরে জামাইবাবুর বোনের মাথায় সিঁদুর দিল যুবক ]
সম্প্রতি আবারও সামনে এল এই ঘটনা। উত্তরাখণ্ডের হলদিওয়ানি বাজারে বিক্রি হচ্ছিল প্লাস্টিক চাল। হাতে নিয়ে দেখা গিয়েছে, তা রীতিমতো জমাট বেঁধে গিয়েছে। চটচটে হওয়ায় গায়ে গায়ে লেগে অনেকটা ক্রিকেট বলের আকার নিয়েছে। এমনকী বাচ্চারা সে চালের বল নিয়ে খেলাও করেছে। অনুরূপ ঘটনা হায়দরাবাদের দু’টি অঞ্চলেও ঘটেছে। এক দোকানের বিরিয়ানিতে প্লাস্টিকের চাল ব্যবহারের অভিযোগ ওঠে প্রথমে। এছাড়া একটি বেসরকারি হস্টেলের আবাসিকরা অভিযোগ করেন যে, রাতের খাবারে যে ভাত দেওয়া হয়েছিল তা প্লাস্টিক চালেই তৈরি। ফলত তার স্বাদও আলাদা। আবাসিক পড়ুয়ারা হস্টেল মালিকের বিরুদ্ধে অভিযোগও দায়ের করেছে পুলিশে। অন্য এলাকার এক বাসিন্দা চাল কিনে আনার পর দেখেন, তা সাধারণ চালের মতো নয়। রীতিমতো প্লাস্টিকের মতো বস্তু। বাসিন্দাদের মিলিত অভিযোগ, কয়েকজন ব্যবসায়ী জেনেবুঝেই এ ধরনের চাল বিক্রি করছেন। তাঁদের অভিযোগের ভিত্তিতেই ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ। তবে সাধারণ মানুষকে অযথা ভয় না পেয়ে শান্তও থাকারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
[ জানেন, কেন এই ভারতীয়র কোনও নাম নেই? ]
পাশাপাশি প্রশ্ন উঠছে, কী করে চেনা যাবে কোনটা প্লাস্টিক চাল? বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, তা চেনার উপায়ও খুব সহজ। চাল জলে ভিজিয়ে রাখলে যদি তা জলভরা পাত্র্রের নিচে চলে যায়, তবেই তা আসল চাল। প্লাস্টিক চাল হলে সেক্ষেত্রে জলের উপর তা ভেসেই থাকবে। এছাড়া ভাত যদি কয়েকদিন রাখার পর তাতে ছত্রাকের সংক্রমণ ঘটে বা পচে যায় তবে জানতে হবে তা আসল চালের ভাত। প্লাস্টিক চালের ক্ষেত্রে তা হয় না বলেই মত বিশেষজ্ঞদের।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.