সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কেরলে সবরীমালা ইস্যু যেন মিলিয়ে দিয়েছে কংগ্রেস ও বিজেপিকে। সুপ্রিম কোর্টের রায় কার্যকর করার উদ্দেশ্যে শক্ত হাতে বিক্ষোভ দমন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেরলের বাম সরকার। অন্যদিকে, বিজেপি সুপ্রিম রায়ের বিরোধিতা করছে। ধর্মীয় ভাবাবেগকে কাজে লাগাতে তারা আসরে নেমেছে বিক্ষোভকারীদের হয়ে। কিন্তু কংগ্রেস দোটানায়। সরাসরি সুপ্রিম রায়ের বিরোধিতা না করলেও স্থানীয় রাজনীতির স্বার্থে বিক্ষোভকারীদের পাশেই দাঁড়িয়েছেন রাজ্যের কংগ্রেস নেতারা। হাত শিবিরের এই অবস্থানে বেজায় চটেছেন কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন। সোমবার কেরল বিধানসভায় কংগ্রেস নেতাদের তিনি বলেন, ‘আপনারা বিজেপির অনুগামী হয়ে গিয়েছেন। অমিত শাহর নির্দেশে কাজ করছেন।’
সবরীমলা ইস্যু নিয়ে বিতর্কের পর সোমবার প্রথমবার খুলল বিধানসভা। আর প্রত্যাশিতভাবেই শুরুতেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। তীব্র বাদানুবাদ শুরু হয় বাম ও কংগ্রেস বিধায়কদের মধ্যে। প্রথমে সরকারের সঙ্গে সহযোগিতা করার বার্তা দিলেও অধিবেশন শুরু হতেই বিক্ষোভ দেখান কংগ্রেস বিধায়করা। বিরোধীদের বিক্ষোভে মেজাজ হারান মুখ্যমন্ত্রী। বিরোধী দলনেতা রমেশ চেনিথালাকে তিনি প্রশ্ন করেন, “আপনাদের নেতা কে? আমার তো মনে হয় আপনারা অমিত শাহর নেতৃত্বে কাজ করছেন, রাহুল গান্ধীর কথা আপনারা শুনছেন না।” ক্ষুব্ধ বিজয়ন বলেন, “আপনার একসঙ্গে সবাইকে বোকা বানাতে পারবেন না। আপনাদের আসল চেহারা প্রকাশ্যে চলে এসেছে। কেরলের কংগ্রেস এখন আরএসএসের সবচেয়ে কাছের দল হয়ে গিয়েছে। বিজেপি যেখানে বিধানসভার বাইরে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে, আপনারা বিধানসভা চত্বরেই শুরু করতে চাইছেন। এতেই বোঝা যাচ্ছে আপনাদের মধ্যে আঁতাত গড়ে উঠেছে।”
কংগ্রেস অবশ্য পালটা সিপিএমের দিকেই অভিযোগের আঙুল তুলছে। স্থানীয় কংগ্রেস নেতারা বলছেন, “আগেই দেখা গিয়েছে সবরীমালা মন্দির চত্বরে কীভাবে আরএসএস নেতারা দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। অথচ সরকার তাদের নিয়ন্ত্রণ করছে না। আমাদের দাবি না মানা পর্যন্ত আমরা বিক্ষোভ দেখাব।” উল্লেখ্য, দুদিন আগেই স্থানীয় নির্বাচনের ফল প্রকাশ হয়েছে। আর তাতে বড় সাফল্য পেয়েছে বামেরা। তারপরই এদিন আক্রমণাত্মক হতে দেখা গেল মুখ্যমন্ত্রীকে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.