সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কৃষক আন্দোলনের সমর্থনে রাজস্থানে দলীয় কর্মসূচি আসলে কংগ্রেসের দুই গোষ্ঠীর ক্ষমতা ও রাজনৈতিক গ্রহণযোগ্যতা প্রমাণের মাধ্যম হয়ে উঠল। গত বছরই শচীন পাইলট এবং মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটের মধ্যে দ্বন্দ্বে তোলপাড় হয় রাজ্য-রাজনীতি। হাইকমান্ডকে হস্তক্ষেপ করতে হয় দ্বন্দ্ব মিটমাটে। তখন বিষয়টি চাপা পড়ে গেলেও তাকে যে ‘মিটে যাওয়া’ বলা যায় না, তা এখন বোঝা যাচ্ছে। কেন্দ্রের নয়া তিন কৃষি আইনের প্রতিবাদে কৃষক আন্দোলনের সমর্থনে রাজ্যব্যাপী জনসভার আয়োজনের জন্য দলকে নির্দেশ দিয়েছেন রাহুল গান্ধী। এরপর কংগ্রেসের জনসভা ঘিরেই দুই শিবিরে দ্বন্দ্ব ফের প্রকাশ্যে এসে গিয়েছে।
১২ ও ১৩ ফেব্রুয়ারি রাজস্থানে কৃষক সমাবেশে এসেছিলেন রাহুল গান্ধী। তিনি প্রদেশ নেতাদের নির্দেশ দেন যে, কৃষক আন্দোলনের সমর্থনে রাজ্যজুড়ে যত বেশি সম্ভব জনসভা করতে হবে। এর পরই গত শুক্রবার শচীন পাইলট জয়পুরে একটি বিশাল জনসভার আয়োজন করেন। কিন্তু সেই জনসভায় মুখ্যমন্ত্রী গেহলটের শিবিরের কোনও নেতা উপস্থিত ছিলেন না। ছিলেন শচীন শিবিরের ‘বিক্ষুব্ধ’ ১৭ জন নেতার সবাই। পরের দিনই কংগ্রেসের জয়পুর শাখা একটি জনসভা করে। সেখানে আবার শচীন-অনুগামী নেতারা গরহাজির ছিলেন। এর পরই রাজস্থান কংগ্রেসের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নিয়ে ফের রাজ্য-রাজনীতিতে জল্পনা শুরু হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে দলের এই কর্মসূচি যেন দুই শিবিরের ক্ষমতা ও রাজনৈতিক গ্রহণযোগ্যতা প্রমাণের দৌড়ে পর্যবসিত হয়েছে। এটা কি ‘সমান্তরাল রাজনীতি’ নয়? মানতে চাইছেন না শচীন। উত্তরে তিনি বলেন, “একদমই তা নয়। এটা দলেরই কর্মসূচি। দলে এটাই সিদ্ধান্ত হয়েছে যে, আমরা সবাই কৃষকদের সমর্থনে জনসভা করব। তিনি বলেন, “আমি গোবিন্দ দোতাসারাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলাম। কিন্তু তিনি একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে যাওয়ার জন্য থাকতে পারেননি। আমি মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করারও চেষ্টা করেছিলাম, কিন্তু আটদিন আগে বলেও তাঁর সময় পাওয়া যায়নি।
উল্লেখ্য, রাজস্থান গত বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির হাত থেকে বের করে আনার জন্য শচীন পাইলটের বড় ভূমিকা ছিল। স্বাভাবিকভাবে তাঁর অনুগামীদের প্রত্যাশা ছিল মুখ্যমন্ত্রীর পদটি তিনিই পাবেন। তবে কংগ্রেসের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব মুখ্যমন্ত্রী করেন অশোক গেহলটকে। শোনা যায়, সোনিয়া গান্ধীর বিশেষ আস্থাভাজন হওয়ার দরুনই মসনদে বসতে সক্ষম হন গেহলট। কিন্তু বছর ঘুরতেই শচীন অনুগামীদের ক্ষোভ প্রকাশ্যে আসে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.