সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রায় পাঁচ দশক আগে পর্তুগালের লেখক লৌরেঙ্কো ডি স্যাডভানডর মহাত্মা গান্ধীর উপর একটি বই লিখেছিলেন। ১৯৬৩ সালে ‘হু কিলড গান্ধী’ নামে ওই বইটি পতুর্গালে প্রকাশিত হয়েছিল। ১৯৭৯ সালের ২৯ ডিসেম্বর তৎকালীন কেন্দ্রীয় সরকার ওই বইটি ভারতে নিষিদ্ধ করে। ফলে পতুর্গালে প্রকাশিত ওই বইটি ভারতে আসার অনুমতি পায়নি। কেন্দ্রীয় সরকারের জারি করা ওই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেওয়ার জন্য বোম্বে হাই কোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছে।
[মন্দির হোক বা মসজিদ, সমস্ত লাউডস্পিকার খুলে ফেলার নির্দেশ যোগীর]
স্যাডভানডরের লেখা ওই বইয়ে বলা হয়েছে, গান্ধীজির হত্যার পিছনে একটি বৃহত্তর ষড়যন্ত্র ছিল। অভিনব ভারত নামে একটি বেসরকারি সংস্থার অছি পরিষদের সদস্য পঙ্কজ ফডনিস ওই জনস্বার্থ মামলাটি দায়ের করেছেন। পঙ্কজ তাঁর আবেদনে জানিয়েছেন, সরকারের দাবি ছিল লৌরেঙ্কোর লেখা বইটি এদেশে নিয়ে আসা হলে উত্তেজনা ছড়াবে। কারণ বইটি লেখার জন্য যে ধরনের গবেষণা করা উচিত ছিল লেখক তা করেননি। তাই লৌরেঙ্কোর লেখা ওই বই ভারতে নিয়ে আসার অনুমতি দেওয়া সম্ভব নয়। সরকারের ওই আরজি খারিজ করে পঙ্কজ পাল্টা দাবি করেছেন, সরকারের এই সিদ্ধান্ত খামখেয়ালি আচরণের প্রকৃষ্ট উদাহরণ। চিন্তাভাবনা ও বাক স্বাধীনতার মতো মানুষের মৌলিক অধিকারে হস্তক্ষেপ। তাই কোনও অবস্থাতেই এই সিদ্ধান্ত মেনে নেওয়া সম্ভব নয়। আদালতের উচিত, ওই নিষেধাজ্ঞা খারিজ করে দিয়ে বইটি ভারতে নিয়ে আসার অনুমতি দেওয়া। পঙ্কজের দাবি, ওই বই থেকে গান্ধী হত্যার বিষয়ে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মিলতে পারে। চলতি সপ্তাহে হাই কোর্টের কোনও ডিভিশন বেঞ্চে মামলাটি উঠতে পারে বলে জানা গিয়েছে।
উল্লেখ্য, গান্ধী হত্যা রহস্য উন্মোচনে সরকারকে নির্দেশ দেওয়ার জন্য গত বছর সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন পঙ্কজ। ওই আবেদনের ভিত্তিতে শীর্ষ আদালত একজন আদালত বান্ধব নিয়োগ করে। দীর্ঘ দিন বাদে এই মামলাটির তদন্ত ফের শুরু করা যায় কি না তা খতিয়ে দেখতেই আদালত বান্ধব নিয়োগ করা হয়েছিল। চলতি মাসের ১২ তারিখে এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে।
[আসন্ন নির্বাচন, বাংলাদেশে জোরাল হিন্দুদের সুরক্ষার দাবি]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.