সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ১৫ বছরের স্ত্রীর সঙ্গে দৈহিক সম্পর্ককে ধর্ষণ (Rape) বলা যায় না। মঙ্গলবার এক মামলায় এমনটাই জানিয়ে দিল দিল্লি হাই কোর্ট। উল্লেখ্য, এই মামলায় একই রায় দিয়েছিল নিম্ন আদালত। সেই রায়ই বহাল রাখল উচ্চ আদালতও।
২০১৫ সালে এক ১৫ বছরের কিশোরীর মা তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এনে আদালতের দ্বারস্থ হন। ওই নাবালিকা অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার পরই মামলা দায়ের করেন তাঁর মা। কিন্তু নিম্ন আদালত অভিযুক্তকে রেহাই দিয়ে জানিয়ে দেয়, এই শারীরিক সম্পর্ককে ধর্ষণ বলা যাবে না।
এদিন হাই কোর্টে (Delhi HC) বিচারপতি সুরেশকুমার কায়েত ও নীনা বনসল কৃষ্ণের বেঞ্চ জানিয়ে দেয়, নিম্ন আদালত যা রায় দিয়েছে তা সঠিক। বিচারপতিরা বলেন, ”নাবালিকা নির্যাতিতা যেহেতু স্ত্রী এবং প্রায় ১৫ বছরের, তাই অভিযুক্তের সঙ্গে তাঁর শারীরিক সম্পর্ককে ধর্ষণ বলা যায় না। অভিযুক্তকে মুক্তি দেওয়ার রায় সঠিক।” আদালত মনে করিয়ে দিয়েছে, ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৫ ধারা অর্থাৎ ধর্ষণের ক্ষেত্রে কোন স্ত্রীর বয়স ১৫ বছরের নিচে না হলে তার সঙ্গে যৌন মিলন বা যৌনতাকে ধর্ষণের আওতায় আনা যায় না।
প্রসঙ্গত, ওই নাবালিকা আদালতে তার বয়ানে জানিয়েছে, ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে তাদের বিয়ে হয়। তার অনুমতি নিয়েই তার স্বামী তার সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করে বলেও কিশোরী আদালতকে জানিয়েছিল। সেই সঙ্গেই সে জানিয়েছিল, তার মা ওই ব্যক্তি সম্পর্কে জানতেন না।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.