সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনা সংক্রমণের একেবার প্রথম দিকে ‘সামাজিক দূরত্ব’ কথাটির প্রচলন হয়। সমস্তরকম করোনা বিধির ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হত এই শব্দদুটিই। দেশের রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে প্রথম তৃণমূল কংগ্রেসই দাবি করে ‘সামাজিক দূরত্ব’ (Social Distancing) কথাটি ঠিক নয়। এতে মানুষে মানুষে বিভেদ তৈরি হয়। করোনা রোগীরা আরও বেশি মানসিক সমস্যা পড়েন। তাই এর পরিবর্তে ব্যাবহার করা হোক ‘শারীরিক দূরত্ব’ (Physical distancing) কথাটি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (TMC) সেই দাবিকে মান্যতা দিল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রক। এখন থেকে সমস্তরকম করোনা বিধির ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হবে ‘শারীরিক দূরত্ব’ কথাটি।
While fighting #Covid since beginning @MamataOfficial ji has been constantly requesting to use #PhysicalDistancing in place of #SocialDistancing, which was also opinion of @IMAIndiaOrg. I raised the same in #Parliament & GOI has officially accepted the same.#EgiyeBangla pic.twitter.com/aerKU3edoV
— CITIZEN DR SANTANU SEN (@SantanuSenMP) November 20, 2020
আসলে সামাজিক দূরত্ব বা ‘সোশ্যাল ডিসট্যান্সিং’ কথাটি নিয়ে আপত্তি ছিল অনেকেরই। এই শব্দটির বহুল ব্যবহারের ফলে করোনা রোগীদের সামাজিকভাবে বয়কট করার প্রবণতা বাড়তে পারে বলেও ধারণা ছিল বিশেষজ্ঞদের। আর মহামারীর আবহে পারস্পারিক সহযোগিতা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। অসুস্থ অবস্থায় সামাজিক বয়কটের শিকার হলে করোনা আক্রান্তদের মানসিক সমস্যা হতে পারে। যাতে বিপদ আরও বাড়ার আশঙ্কা থাকে। তুলনায় ‘শারীরিক দূরত্ব’ বা ‘ফিজিক্যাল ডিসট্যান্সিং’ কথাটি অনেক বেশি গ্রহণযোগ্য। আসলে করোনা কালে শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা জরুরি, মানসিক দূরত্ব নয়। বরং মানসিকভাবে একাত্মতা প্রয়োজন।
আর দেশের রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের মধ্যে সেটা প্রথম অনুধাবন করতে পারেন এরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তিনিই প্রথম ‘সোশ্যাল ডিসট্যান্সিং’ কথাটির বদলে ‘ফিজিক্যাল ডিসট্যান্সিং’ কথাটি ব্যবহার করার পক্ষে সওয়াল করেন। পরবর্তীকালে তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ তথা ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট শান্তনু সেন এই বিষয়টি সংসদে উত্থাপন করেন। শেষমেশ কেন্দ্র শান্তনুর সেই দাবি মেনে নিয়েছে। এবং চিঠি দিয়ে জানিয়ে দিয়েছে, এরপর থেকে আর সোশ্যাল ডিস্ট্যান্স নয়, ব্যবহার হবে ফিজিক্যাল ডিসট্যান্স কথাটি। এ প্রসঙ্গে ডঃ শান্তনু সেন বলছিলেন, বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই শারীরিক দূরত্ব শব্দটি প্রথম ব্যবহার করেছিলেন। এখন তা গোটা দেশে ব্যবহৃত হবে। একইভাবে কো-মর্বিডিটি স্টাডিজ, সেফ হোমের মতো বিষয় গুলিও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই প্রথম ব্যবহার করেন। এগুলো আজ গোটা দেশে সমাদৃত।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.