সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বেঙ্গালুরু হিংসার নেপথ্যে রয়েছে ইসলামিক মৌলবাদী সংগঠন ‘পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া’ (PFI)। তদন্তের অগ্রগতির সঙ্গে উঠছে এমনই অভিযোগ। ইতিমধ্যে হিংসা উসকে দেওয়ার অভিযোগে পপুলার ফ্রন্টের রাজনৈতিক শাখা ‘সোশ্যাল ডেমক্র্যাটিক পার্টি অফ ইন্ডিয়া’র (SDPI) মুজামিল পাশা নামের এক সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
ঘটনার সূত্রপাত মঙ্গলবার সকালে। সেদিনই একটি বিতর্কিত ফেসবুক পোস্ট করেন কংগ্রেস বিধায়ক শ্রীনিবাস মূর্তির ভাইপো নবীন। নেটদুনিয়ায় প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই ওঠে ঝড়। এরপর রাতে বিধায়কের বাড়ির সামনে উত্তেজিত জনতা ভিড় জমায়। বাড়ি লক্ষ্য করে ইট, পাথর, কাচের বোতল ছুঁড়তে শুরু করে। ২-৩টি গাড়িতেও আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। এরপর ডিজে হাল্লি ও কেজি হাল্লি এলাকায় ভাঙচুর চালায় হামলাকারীরা। পুলিশের সঙ্গে উত্তেজিত জনতার খণ্ডযুদ্ধ বেঁধে যায়। পরিস্থিতি সামাল দিতে বাধ্য হয়ে গুলি চালায় পুলিশ। তাতে ২ জনের মৃত্যু হয়। আরও কয়েকজন আহত হন। প্রায় ৬০ জন পুলিশকর্মীও জখম হয়েছেন। আপাতদৃষ্টিতে এই ঘটনা জনরোষের প্রকাশ মনে হলেও এর নেপথ্যে ষড়যন্ত্র রয়েছে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পুলিশ আধিকারিকের মতে, হিংসায় ইন্ধন জুগিয়েছে SDPI। বলে রাখা ভাল, ২০০৯ সালে নয়াদিল্লিতে আত্মপ্রকাশ করে PFI-এর রাজনৈতিক সংগঠন SDPI। তার পরের বছরই নির্বাচন কমিশনে নথিবদ্ধ হয় দলটির নাম। উল্লেখ্য, কেরল ও কর্ণাটকে সক্রিয় PFI। লভ জিহাদ থেকে শুরু করে বিভিন্ন সন্ত্রাসী কার্যকলাপে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে সংগঠনটির বিরুদ্ধে।
এদিকে, সমস্ত অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন কর্নাটকে SDPI প্রেসিডেন্ট ইলিয়াস মহম্মদ তুম্বে। পালটা পুলিশের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছেন তিনি। তুম্বের অভিযোগ, নিজের গাফিলতি ঢাকার চেষ্টা করছে পুলিশ। এই ঘটনার সঙ্গে কোনওভাবেই জড়িত নন পাশা। তিনি আরও অভিযোগ করেন, বেশ কয়েকবার বিতর্কিত পোস্ট করলেও কংগ্রেস বিধায়কের ভাইপোর বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করেনি পুলিশ। মঙ্গলবার রাতে ফের একবার জনতা অভিযোগ জানাতে গেলেও তারা কোনও পদক্ষেপ করেনি। সব মিলিয়ে বেঙ্গালুরু হিংসা নিয়ে শুরু হয়েছে অভিযোগ পালটা অভিযোগের পালা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.