ফাইল ছবি
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পেট্রল, ডিজেলের মূল্য আকাশছোঁয়া। যার জেরে দাম বাড়ছে নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীর। কমছে চাহিদা। যার ফলে সার্বিকভাবে ধাক্কা খাচ্ছে অর্থনীতি। নাভিশ্বাস উঠছে সাধারণ মানুষের। এই সব সমস্যার সমাধান হয়ে যেতে পারে এক নিমেষে। শুধু পেট্রল-ডিজেলকে জিএসটির (GST) আওতায় আনলেই একধাক্কায় ১০১ টাকা লিটারের পেট্রল মিলতে পারে ৭৫ টাকায়। ডিজেল মিলতে পারে মাত্র ৬৮ টাকা প্রতি লিটার দরে। সবটাই নির্ভর করছে জিএসটি কাউন্সিলের (GST Council) সিদ্ধান্তের উপর। এক সমীক্ষা অনুযায়ী, এই মুহূর্তে দেশের ৭৭ শতাংশ মানুষ চাইছে পেট্রল-ডিজেল জিএসটির আওতায় আসুক।
আসলে এই মুহূর্তে পেট্রল-ডিজেলের উপর কেন্দ্র ও রাজ্য দুই সরকারই মোটা অঙ্কের কর বসায়। এই মুহূর্তে কেন্দ্র পেট্রলে লিটারপ্রতি ৩২ শতাংশ কর বসায়। রাজ্য বসায় ২৩.০ শতাংশ। ডিজেলের উপর কেন্দ্র বসায় ৩৫ শতাংশ কর। রাজ্য বসায় ১৪ শতাংশ। অর্থাৎ সব মিলিয়ে পেট্রলের উপর প্রায় ৫৫ শতাংশ এবং ডিজেলের উপর প্রায় ৫০ শতাংশ কর বসে। পেট্রল-ডিজেল জিএসটির আওতায় এলে খুব বেশি হলে এর উপর ২৮ শতাংশ কর বসতে পারে। সেটা হলে একধাক্কায় পেট্রলের দাম কমে হতে পারে ৭৫ টাকা প্রতি লিটার। ডিজেলের দাম হতে পারে লিটারপ্রতি ৬৮ টাকা।
শুক্রবারই পেট্রোপণ্যকে জিএসটির আওতায় আনা নিয়ে আলোচনা করতে বৈঠকে বসছে জিএসটি কাউন্সিল। বিষয়টি নিয়ে ভাবনাচিন্তা করতে কাউন্সিলকে বলেছিল আদালতও। আসলে পেট্রোপণ্য জিএসটির আওতায় এলে কর নিয়ে জটিলতা অনেকটাই কমবে। কিছুদিন আগে পেট্রোলিয়াম দপ্তরের প্রাক্তন মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান (Dharmendra Pradhan) এবং অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ, দু’ জনেই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন এবার পেট্রল-ডিজেলকে জিএসটির আওতায় আনতে পারে কেন্দ্র।
কেন্দ্রের দুই মন্ত্রী পেট্রোপণ্যকে জিএসটির আওতায় আনার কথা বললেও এক্ষেত্রে বাধা হতে পারে জিএসটি কাউন্সিল। কারণ, জিএসটি কাউন্সিলে কেন্দ্রের পাশাপাশি রাজ্যগুলির প্রতিনিধিরাও আছেন। পেট্রোপণ্যকে পণ্য ও পরিষেবা করের আওতায় আনতে চাইলে রাজ্যগুলি বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ, এমনিতেই পেট্রোপণ্যে রাজ্যের তুলনায় অনেক বেশি কর পায় কেন্দ্র। তার উপর জিএসটির আওতায় এলে রাজ্যের লভ্যাংশ আরও কমবে। ২০১৭ সালে যখন জিএসটি চালু হল, তখন মূলত রাজ্যগুলির আপত্তিতেই পেট্রোপণ্যকে এর অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। এবারেও যে রাজ্যগুলি এই প্রক্রিয়ায় বাধা হয়ে দাঁড়াবে না, তা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। আসলে, জিএসটি ব্যবস্থায় যে কোনও পরিবর্তনের জন্য কাউন্সিলের তিন-চতুর্থাংশের অনুমোদনের প্রয়োজন হবে। এখন দেখা যাক কেন্দ্র ও রাজ্যের প্রতিনিধিরা এই প্রস্তাবে রাজি হয় কিনা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.