সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হায়দরাবাদ এনকাউন্টার নিয়ে এবার সুপ্রিম কোর্টে অভিযোগ দায়ের। পুলিশের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে সর্বোচ্চ আদালতে অভিযোগ দায়ের করেছেন দুই আইনজীবী। জিএস মণি এবং প্রদীপ কুমার যাদব নামের ওই দুই আইনজীবীর দাবি, যে সমস্ত পুলিশ কর্মীরা এই এনকাউন্টারের সঙ্গে জড়িত, তাঁদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করতে হবে।
দুই মামলাকারীর দাবি, হায়দরাবাদের সাইবারবাদ বিভাগের পুলিশ কর্মীরা অভিযুক্তদের এনকাউন্টারের সময় সুপ্রিম কোর্টের গাইডলাইন মানেনি। উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে সুপ্রিম কোর্ট পুলিশ এনকাউন্টার সংক্রান্ত একটি গাইডলাইন নির্ধারণ করে দেয়। বলা, হয় মোট ১৬টি পরিস্থিতিতে এনকাউন্টার করতে পারে পুলিশ। দুই আইনজীবীর দাবি, হায়দরাবাদের অভিযুক্তদের এনকাউন্টারের সময় তা মানা হয়নি। শুধু তাই নয়, সুপ্রিম কোর্টে আরও একটি আবেদন জমা পড়েছে বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) গঠন করে পুরো ঘটনার তদন্তের দাবিতে। আইনজীবী এম এল শর্মার ওই আবেদনে বলা হয়েছে, পুরো তদন্ত প্রক্রিয়াটি সুপ্রিম কোর্টের তত্ত্বাবধানে করা হোক। এছাড়াও, দিল্লি মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন স্বাতী মালিওয়াল এবং রাজ্যসভা সাংসদ জয়া বচ্চনের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করা হয়েছে। মামলাকারীর অভিযোগ, এরা দু’জন বিচারব্যবস্থার বাইরে হওয়া খুনকে সমর্থন করেছেন।
ইতিমধ্যেই পুরো ঘটনা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য পেতে হায়দরাবাদে পৌঁছে গিয়েছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের একটি দল। তাঁরা ঘটনাস্থল পরিদর্শনও করেছেন। উল্লেখ্য, গতকালই তেলেঙ্গানা হাই কোর্ট ওই এনকাউন্টারে মৃতদের দেহ সংরক্ষণ করে রাখার নির্দেশ দিয়েছে। সোমবারের আগে মৃতদেহগুলির সৎকার করা যাবে না। এছাড়াও বেশ কিছু সমাজকর্মী দাবি তুলেছেন, ওই দেহগুলির ময়না তদন্ত অন্ধ্রপ্রদেশ এবং তেলেঙ্গানার বাইরে অন্য কোনও রাজ্যে করতে হবে। ময়নাতদন্তের সময় ভিডিও রেকর্ডিং করারও দাবি জানানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, শুক্রবার ভোরে হায়দরাবাদে ধর্ষণে অভিযুক্ত চার ব্যক্তির এনকাউন্টার করে হায়দরাবাদ পুলিশ। এদের বিরুদ্ধে এক তরুণীকে গণধর্ষণ করে পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ ছিল। এই চার ব্যক্তির এনকাউন্টার নিয়ে রীতিমতো প্রশ্নের মুখে পড়ে গেল তেলেঙ্গানা পুলিশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.