সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ব্যক্তিগত আইনের নামে কখনও কোন মানুষের অধিকার ক্ষুণ্ণ করা যাবে না। এমনকী মুসলিম মহিলাদেরও নয়। ‘তিন তালাক’ ইস্যুতে এভাবেই ফের একবার কড়া বার্তা দিল এলাহাবাদ হাইকোর্ট। এর পাশাপাশি আদালত আরও জানায়, লিঙ্গবৈষম্যের ভিত্তিতে কারও মানবাধিকার ক্ষুণ্ণ করা উচিত নয়। ‘একজন মুসলিম পুরুষ কখনই তাঁর স্ত্রীকে এমনভাবে তালাক দিতে পারে না, যাতে প্রত্যেকের সমানাধিকারের ওপরেই প্রশ্ন উঠে যায়।’ মুসলিমদের বিবাহ একটি চুক্তি। একতরফাভাবে স্বামী তা খারিজ করতে পারে না। জানিয়েছে আদালত।
মঙ্গলবার একটি মামলার শুনানিতে এলাহাবাদ হাইকোর্টে আরও জানায়, সংবিধানের মধ্যে থাকলে তবেই ব্যক্তিগত আইন কার্যকর হতে পারে। কিন্তু ফতোয়া যা কিনা পুরোপুরি সংবিধানবিরোধী, তা কখনই বৈধ হতে পারেনা। ‘কোনও ফতোয়াই কারওর ব্যক্তিগত অধিকার হনন করতে পারেনা।’ মুসলিম সমাজে একজন ব্যক্তি কেবলমাত্র তিন বার তালাক উচ্চারণ করেই নিজের স্ত্রীকে ডিভোর্স দিয়ে দেওয়াটা সংবিধানবিরোধী রীতি। তাই গত বছর ডিসেম্বরে এলাহাবাদ হাইকোর্ট তিন তালাক নীতিকে অসাংবিধানিক আখ্যা দিয়েছিল। পাশাপাশি বলেছিল, ‘এই নীতি মুসলিম মহিলাদের অধিকার ক্ষুণ্ণ করছে। কোনও পারসোনাল ল’বোর্ডই সংবিধানের উর্ধ্বে হতে পারে না।’
এর আগে চলতি বছরের ৩০ মার্চ শীর্ষ আদালত তিন তালাক ইস্যুটিকে সাংবিধানিক বেঞ্চে পাঠিয়েছিল। পাঁচ সদস্যের ওই বেঞ্চেই তিন তালাক ইস্যুতে আগামী ১১ মে পরবর্তী শুনানিটি হবে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.