সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইংরেজি নয়, বিভিন্ন রাজ্যের মানুষের নিজেদের মধ্যে কথোপকথনের সময় ব্যবহার করা উচিত হিন্দি ভাষা। হিন্দিকেই ইংরাজির বিকল্প হিসাবে গ্রহণ করতে হবে। বৃহস্পতিবার সরকারি ভাষা সংক্রান্ত সংসদীয় কমিটির বৈঠকে হিন্দির পক্ষে জোরাল সওয়াল করলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। তাঁর বক্তব্য,”দেশের সংহতি রক্ষা করতে হিন্দিকে বাড়তি গুরুত্ব দিতেই হবে।”
সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার সরকারি ভাষা সংক্রান্ত সংসদীয় কমিটির বৈঠকে অমিত শাহ বলেন,”প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) ঠিক করেছেন সরকারি কাজে সরকারি ভাষাই ব্যবহার করতে হবে। এতে অবশ্যই হিন্দির গুরুত্ব বাড়বে। সরকারি ভাষাকে দেশের সংহতি রক্ষার কাজে ব্যবহার করার সময় এসে গিয়েছে।” শাহর বক্তব্য, “যখন দু’টি আলাদা ভাষার সরকারি কর্মী নিজেদের মধ্যে কথা বলবেন, তাঁদের ভাষা যেন এদেশীয় হয়। ইংরেজি নয়।”
সংবিধান বলছে, ভারতে সরকারি ভাষা ২২টি। এর মধ্যে শুধুমাত্র হিন্দি এবং ইংরাজি, এই দু’টি ভাষাতে কাজ করে কেন্দ্রীয় সরকার। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের পরিসংখ্যান বলছে, কমবেশি ৭০ শতাংশ সরকারি কাজ এখন এমনিতেই হিন্দিতে (Hindi) হয়। আগামী দিনে সেটা আরও বাড়াতে চান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তাঁর সাফ কথা, “ইংরেজির বিকল্প ভাষা হতে পারে একমাত্র হিন্দি। অন্য কোনও স্থানীয় ভাষা নয়। তবে হিন্দিকে অন্যান্য ভাষা থেকে শব্দ গ্রহণ করে নমনীয় হতে হবে।”
অমিত শাহ (Amit Shah) বহুদিন ধরেই জাতীয় স্তরে হিন্দির গুরুত্ব বাড়ানোর পক্ষে সওয়াল করে চলেছেন। তাঁর বক্তব্য, সরকারি কর্মী এবং যুবসমাজের মধ্যে হিন্দির প্রতি ঝোঁক বাড়াতে হবে। কারণ একমাত্র হিন্দিই পারে ভারতীয়দের সংস্কৃতি এবং মূল্যবোধ অটুট রাখতে। শুধু তাই নয়, অমিত শাহ চাইছেন নবম শ্রেণি পর্যন্ত সব পড়ুয়াকে প্রাথমিক হিন্দি শিক্ষা দেওয়া হোক। বৃহস্পতিবার সংসদীয় কমিটির বৈঠকেও নবম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ুয়াদের হিন্দি শিক্ষার পক্ষে জোরাল সওয়াল করেছেন তিনি। প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি এবার সরাসরিই অহিন্দি ভাষী রাজ্যগুলির উপর হিন্দি চাপিয়ে দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করে দিল কেন্দ্রের বিজেপি (BJP) সরকার।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.