দামী সানগ্লাস, ব্যাগ হাতে সংসদ ভবনে মহুয়া মৈত্র। ফাইল ছবি।
বিশেষ সংবাদদাতা, নয়াদিল্লি: ‘টাকার বিনিময়ে প্রশ্ন অভিযোগে বিদ্ধ তৃণমূল কংগ্রেসের কৃষ্ণনগরের সাংসদ মহুয়া মৈত্রকে (Mahua Moitra) লোকসভা থেকে বহিষ্কার আদৌও যুক্তিসঙ্গত কিনা, তা নিয়ে বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠেছে। বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন লোকসভার প্রাক্তন সেক্রেটারি জেনারেল পিডিটি আচার্যও। শুক্রবারই একটি জাতীয় সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, তাঁর বিরুদ্ধে সাক্ষীদের ‘ক্রস একগজামিন’ করার অধিকার ছিল মহুয়ার। ভারতীয় সংসদ যে ব্রিটিশ সংসদ হাউস অব কমন্সের ধারাতে চলে সেখানেও এই অধিকার দেওয়া হয়।”
প্রসঙ্গত, এথিক্স কমিটির (Ethics Committee) কাছে মহুয়া তাঁর বিরুদ্ধে হলফনামায় সাক্ষী দেওয়া দর্শন হীরানন্দানিকে ডাকার এবং তাঁকে ক্রস এগজামিন করা দাবি জানিয়েছিলেন। কিন্তু কমিটি তাতে কর্ণপাত করেনি। লোকসভায় এথিক্স কমিটির রিপোর্টের উপর আলোচনাতেও তৃণমূলের পক্ষ থেকে তাদের মুখ্যসচেতক কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ও এই বিষয়টিতেই বিশেষভাবে সরব হয়েছিলেন। যদিও সরকারপক্ষের তরফ থেকে কেউই সেই প্রশ্নের জবাব দিতে পারেননি।
শুধু মহুয়ার অধিকারই নয়, এথিক্স কমিটির অধিকার নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন আচার্য (PDT Acharya)। তাঁর মতে, মহুয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগের তদন্ত এথিক্স কমিটি নয় সংসদের প্রিভিলেজ কমিটির কাছে যাওয়া উচিত ছিল। এথিক্স কমিটি নীতি নৈতিকতা নিয়ে বিচার করতে পারে, কিন্তু এখানে মহুয়ার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে তার তদন্ত করার অধিকার প্রিভেনশন অফ কোরপাশন অ্যাক্টের আওতাতে সিবিআইয়ের মতো কেন্দ্রীয় সংস্থার করার রয়েছে বলেও মত প্রকাশ করেছেন তিনি। সঙ্গে আচার্য একথাও জানিয়েছেন, লগ ইন আইডি শেয়ার করা নিয়ে নির্দিষ্ট কোনও নিয়ম নেই। তাই সাংসদরা কার সঙ্গে তা শেয়ার করতে পারবেন বা পারবেন না, সেই বিষয়টিও স্পষ্ট নয়।
প্রাক্তন সেক্রেটারি জেনারেলের বক্তব্য থেকে স্বাভাবিকভাবেই মহুয়ার বিরুদ্ধে লগ ইন আইডি শেয়ার করার কথা বলে দেশের নিরাপত্তা বিঘ্নিত করার যে অভিযোগ তোলা হয়েছে, তা আদৌও ধোপে কিনা সেই প্রশ্নও উঠছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.