সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘ভাষাযুদ্ধে’র আবহে এবার তামিলনাড়ুর বিরুদ্ধে ‘ভণ্ডামি’র অভিযোগ তুললেন অন্ধ্রপ্রদেশের উপমুখ্যমন্ত্রী পবন কল্যাণ। তাঁর দাবি, তামিল ছবির হিন্ডি ডাবিংয়ে আপত্তি থাকেন দক্ষিণী নেতাদের। কেননা এতে আর্থিক লাভ হয়। কিন্তু এরপরও হিন্দির বিরোধিতা করতে থাকেন তাঁরা। জনসেনার প্রতিষ্ঠা দিবসে ভাষণ দেওয়ার সময় তিনি বললেন, তামিল-সহ বহু ভাষাই প্রয়োজন ভারতের ঐক্যের জন্য।
তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছে, ”তামিলনাড়ুতে মানুষ হিন্দির বিরুদ্ধে অভিযোগে সোচ্চার হয়েছেন। তাঁরা কেন হিন্দি চাইছেন না এটা ভেবে আমি অবাক হচ্ছি। সেক্ষেত্রে তামিল ছবির হিন্ডি ডাবিং তো তাঁরা চাইছেন আর্থিক লাভের জন্য। আসলে ওঁরা বলিউড থেকে পয়সা নিতে চান। কিন্তু হিন্দি নিতে চান না। এটা কেমন কথা হল?” সেই সঙ্গেই তিনি বলেন, হিন্দিভাষী রাজ্য যথা উত্তরপ্রদেশ ও বিহার থেকে শ্রমিকদেরও তাহলে কাজের অনুমতি দেওয়া উচিত নয় তামিলনাড়ুর। অথচ দক্ষিণী ওই রাজ্যে হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশ, বিহার ও পশ্চিমবঙ্গের বহু পরিযায়ী শ্রমিকরাই কাজ করেন। সমীক্ষা থেকে দেখা গিয়েছে সংখ্যাটা ১৫ থেকে ২০ লক্ষ।
উল্লেখ্য, গত কয়েকদিন ধরেই ‘ভাষাযুদ্ধে’র আবহ তামিলনাড়ুতে। ‘দেশের বহু আঞ্চলিক ভাষাকে ধ্বংস করে দিচ্ছে হিন্দি’, দিনকয়েক আগে এমনই বিস্ফোরক মন্তব্য করেছিলেন তামিলনাড়ুর উপমুখ্যমন্ত্রী উদয়নিধি স্ট্যালিন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি লিখে তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিন জানিয়েছিলেন, হিন্দি আগ্রাসন এবং জাতীয় শিক্ষানীতি মেনে নেওয়ার জন্য তামিলনাড়ু সরকারকে কার্যত হুমকি দিচ্ছেন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান। শিক্ষা সংক্রান্ত অনুদান বন্ধ করে দেওয়া হবে বলেও নাকি জানানো হয়েছে শিক্ষামন্ত্রীর তরফে। এর মধ্যেই এবার এমন আক্রমণ করলেন পবন কল্যাণ।
এদিকে পবন কল্যাণকে পালটা দিয়েছে ডিএমকেও। দলীয় নেতা টিকেএস এলানগোভানকে বলতে শোনা গিয়েছে, ”১৯৩৮ সাল থেকে আমরা হিন্দির বিরোধিতা করে আসছি। বিধানসভায় বিলও পাশ করিয়েছি যে তামিলনাড়ু সর্বদা দ্বিভাষী ফর্মুলাতেই চলবে। এবং সেটা শিক্ষাবিদদের উপদেশ ও পরামর্শ মেনেই, অভিনেতাদের নয়। বিলটা পাশ হয়েছিল ১৯৬৮ সালে, পবন কল্যাণ তখনও জন্মাননি। উনি তামিলনাড়ুর রাজনীতিটা বোঝেনই না।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.