Advertisement
Advertisement
Prashant Kishor

অবশেষে নিঃশর্ত জামিন, জেলমুক্তির পর অনশন জারি রাখার ঘোষণা পিকের

জামিন নিয়ে এই ডামাডোলের জেরে প্রায় তিন ঘণ্টা জেলবন্দি থাকেন পিকে।

Patna court grants bail to Prashant Kishor sans conditions
Published by: Amit Kumar Das
  • Posted:January 7, 2025 8:44 am
  • Updated:January 7, 2025 9:27 am  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আদালতের সঙ্গে দীর্ঘ টানাপোড়েনের পর অবশেষে নিঃশর্ত জামিন পেলেন জন সুরজ পার্টির প্রতিষ্ঠাতা প্রশান্ত কিশোর। সোমবার পাটনা আদালতের সিজেএম তাঁর উপর চাপানো সব শর্ত সরিয়ে নেন। দলীয় সূত্রের খবর, জামিন নিয়ে এই ডামাডোলের জেরে প্রায় তিন ঘণ্টা জেল পরিসরে আটকে থাকেন শর্তে সাক্ষর করতে অনড় প্রশান্ত কিশোর। শুধু তাই নয়, মুক্তির পেলেও অনশন চালিয়ে যাবেন বলে ঘোষণা করেছেন তিনি।

বিহার পাবলিক সার্ভিস কমিশনের পরীক্ষা বাতিলের দাবিতে গত ৫দিন ধরে পাটনা গান্ধী ময়দানে অনশন করছিলেন প্রশান্ত কিশোর। সোমবার ভোর ৪টে নাগাদ সেই অনশন মঞ্চে হানা দেয় বিহার পুলিশ। টেনেহিঁচড়ে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। সোমবারই তাঁকে পাটনা আদালতে তোলা হলে ২৫ হাজার টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে পিকের জামিন মঞ্জুর করে আদালত। তবে জামিনের শর্তে জানানো হয় ভবিষ্যতে এমন অপরাধ তিনি আর করবেন না। এখানেই বাধে সমস্যা। প্রশান্ত কিশোর দাবি করেন, তিনি কোনও অন্যায় করেননি। ধর্নায় বসা ও আন্দোলন করা তাঁর অধিকার। ভবিষ্যতে তিনি যদি কোনও আন্দোলন করেন তবেন এই শর্তের ভিত্তিতে পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করবে।’ এর পর আদালতের কাছে আবেদন জানানো হয়, শর্তনামা থেকে নির্দিষ্ট ওই শর্ত বাদ দেওয়ার জন্য। তবে বিচারক স্পষ্ট জানিয়ে দেন নির্দেশ জারি হয়ে গিয়েছে। জামিন পেতে গেলে এই শর্ত মানতে হবে তাঁকে।

Advertisement

জামিনের শর্ত না মানায় প্রশান্ত কিশোরকে নিয়ে যাওয়া হয় বেউর জেলে। এদিকে আদালতে প্রশান্তের আইনজীবীরা নিশর্ত জামিনের দাবি জানান। দীর্ঘ টালবাহানার পর অবশেষে সোমবার রাতে তাঁর নিশর্ত জামিনের আর্জি মঞ্জুর করেন পাটনা সিভিল কোর্টের প্রধান বিচারক। এরপর বেউর থানায় ব্যক্তিগত মুচলেকা দিয়ে মুক্তি পান জন সুরজ পার্টির প্রতিষ্ঠাতা। জেল থেকে বেরিয়ে রাতেই সাংবাদিক বৈঠক করে নীতীশ সরকারকে কড়া সুরে আক্রমণ শানান তিনি। জানান, যতদিন না দাবি দাবি মিটছে অনশন জারি থাকবে। এবং যে আন্দোলন গান্ধী ময়দান থেকে শুরু হয়েছে, তা গান্ধী ময়দানেই শেষ হবে।

পিকে বলেন, ”এই আন্দোলন আমার নিজের জন্য নয়। নীতীশ কুমারের জেদের চেয়ে অনেক বড় পড়ুয়াদের জেদ। এই লড়াইয়ে বিহারের যুবকরাই জয়ী হবেন। বিহারের সমস্ত আধিকারিক জেডিইউ-বিজেপি সরকার এই কথা মাথার ভিতর ঢুকিয়ে নিন। বিজেপির নেতারা নীতীশের সরকারে বসে মাইলাই খাচ্ছেন অথচ বিপিএসসি পরীক্ষা নিয়ে তাঁদের মুখ থেকে একটি শব্দও বের হচ্ছে না। মহাজোটের সরকারের এই বিজেপি নেতাদের উপর লাঠি চালিয়েছিল নীতীশের পুলিশ। আজ লোভের বসে তাঁরা নীতীশের গুণ গাইছে। এরা এমনই চরিত্রের, নির্লজ্জ-বেহায়া।”

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement