Advertisement
Advertisement

Breaking News

করোনা ভাইরাস

শ্বাসকষ্ট-নিউমোনিয়ার রোগীদেরও এবার করোনা পরীক্ষা, নয়া বিজ্ঞপ্তি ICMR’এর

পরীক্ষার জন্য দেশের বাড়ানো হচ্ছে ল্যাবরেটরির সংখ্যা।

Patients with accute respiratory syndrome will be tested Corona, says ICMR
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:March 21, 2020 2:52 pm
  • Updated:March 21, 2020 2:52 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দ্বিতীয় পর্যায় পেরিয়ে ভারতে নোভেল করোনা ভাইরাস সংক্রমণ তৃতীয় পর্যায়ে পা রাখল বলে। এমন সংকটকালে করোনা সংক্রমণ রুখতে আরও জোরদার পদক্ষেপ নিল ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ। এবার থেকে প্রচণ্ড সর্দি-কাশি এবং তীব্র শ্বাসকষ্ট নিয়ে কেউ হাসপাতালে ভরতি হলেই, তাঁকে COVID-19 পরীক্ষা করা হবে। নিউমোনিয়া থাকলেও, এই পরীক্ষা হবে তাঁর। বিদেশ ফেরত না হলেও, ওই রোগীদের এই পরীক্ষার মধ্যে দিতে যেতে হবে। নতুন বিজ্ঞপ্তি জারি করল আইএমসিআর।

ICMR-new-rule

Advertisement

সপ্তাহান্তে দেশজুড়ে করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার নিয়েছে। সংক্রমণের জেরে ক্রমশই বাড়ছে উদ্বেগ। বেশিরভাগ বিদেশ ফেরত বাসিন্দার শরীরে মিলছে করোনা ভাইরাসের অস্তিত্ব। ফলে বিদেশ থেকে ফিরলেই, স্বাস্থ্য পরীক্ষা প্রায় বাধ্যতামূলক হয়ে দাঁড়িয়েছে। তা সত্ত্বেও সরকারি নিয়ম উপেক্ষা করে অনেকেই এড়িয়ে যাচ্ছেন পরীক্ষা। কিন্তু এবার সংক্রমণের তৃতীয় পর্যায় পা ফেলতে চলেছে ভারত। তাই এই সময়ে নজরদারি আরও বাড়ছে, চিকিৎসা পরিষেবা আরও বড় করার চেষ্টা চলছে। কোথাও এতটুকুও ফাঁক রাখতে চান না কেউ।

[আরও পড়ুন: কোয়ারেন্টাইনের বালাই নেই! ফ্রান্স থেকে ফিরেই বিয়ে তেলেঙ্গানার যুবকের]

তারই অংশ হিসেবে এবার ইন্ডিয়ান কাউন্সিলর অফ মেডিক্যাল রিসার্চ নতুন পদক্ষেপ নিয়েছে। বলা হয়েছে, শ্বাসকষ্ট তীব্র কিংবা নিউমোনিয়া নিয়ে কেউ চিকিৎসা করাতে এলে তাঁকে সঙ্গে সঙ্গে ভরতি করিয়ে COVID-19 পরীক্ষা করাতে হবে। এবং সেই রোগীর তথ্য নথিভুক্ত করতে হবে সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল এবং ইন্টিগ্রেটেড ডিজিজ সার্ভিলেন্স প্রোগ্রামে।

বিদেশ ফেরত বাসিন্দাদের সংস্পর্শে যাঁরা এসেছেন, তাঁদেরও নজরে রাখা হচ্ছে। প্রয়োজনে তাঁদেরও পরীক্ষা হবে। এমনই বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ। এই মুহূর্তে দেশের রেজিস্টার্ড ল্যাবরেটরির সংখ্যা ৭২, আরও ৪৯ টি বেসরকারি ল্যাবরেটরিকে COVID-19 পরীক্ষার অনুমোদন দেবে স্বাস্থ্য দপ্তর। ফলে পরীক্ষার চাপ সামলানো যাবে বলে আশাবাদী আইসিএমআর। মোট কথা, সংক্রমণের শেষ পর্যায়ে ভারত পৌঁছনোর আগেই যাতে রোগ শনাক্ত করে যথাযথ চিকিৎসার মাধ্যমে তাঁদের সুস্থ করে তোলা যায়, সর্বশক্তি প্রয়োগ করে সেই চেষ্টা চলছে।

[আরও পড়ুন: করোনা নিয়ে সচেতনতায় কাশ্মীরে বাড়ানো হল মোবাইল ইন্টারনেট স্পিড]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement