সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মাঝেমাঝেই সরকারি হাসপাতালের অব্যবস্থার অভিযোগ ওঠে। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা থেকে শুরু করে হাসপাতালে বেড়াল-কুকুর ঘুরে বেড়ানোর ঘটনাও সাধারণ। এবার তেলেঙ্গানার (Telangana) একটি সরকারি হাসপাতালে ইঁদুরের কামড়ে (Rates Bite) অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে ফলে এক রোগীর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠল। সেরাজ্যের এমজিএম হাসপাতালের (MGM Hospital) রেসপিরেটরি কেয়ার ইউনিটে এই ঘটনা ঘটেছে। রোগীকে ইঁদুরে কামড়নোর কথা স্বীকার করেছে কর্তৃপক্ষ। তবে মৃত্যুর কারণ তা নয় বলে দাবি হাসপাতালের। যদিও হাসপাতালের দায়িত্বপ্রাপ্ত একাধিক ব্যক্তির বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়েছে রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তর।
মৃত রোগীর পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ইঁদুরে কামড়ানোর ঘটনাটি ঘটেছিল বুধবার ৩০ মার্চ। মৃত ব্যক্তির নাম শ্রীনিবাস। পাঁচদিন আগে তাঁকে ওয়ারাঙ্গালের ওই হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। বৃহস্পতিবার সকালে ওই রোগীর দেখভালের দায়িত্বপ্রাপ্ত পরিচারক পায়ের পাতা ও গোড়ালি থেকে রক্ত বের হতে দেখেন। মৃতের ভাই শ্রীকান্ত বলেন, “আমরা ভেবেছিলাম যা ঘটেছে তা আমাদের ভাগ্য। আক্ষেপ করা ছাড়া কোনও উপায় নেই। কিন্তু জানতে পারি হাসপাতালে ইঁদুর কামড়েছিল আমার দাদাকে। প্রচন্ড রক্তক্ষরণ হয়েছিল। বিছানা রক্তে ভিজে গিয়েছিল। এরপরই আমরা কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাই।” হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, ওয়ারাঙ্গালের সরকারি হাসপাতালে রোগীর অবস্থার অবনিত হলে তাঁকে হায়দরাবাদের এনআইএমএস হাসপাতালে (NIMS Hospital) স্থানান্তরিত করা হয়। যদিও শেষ পর্যন্ত রোগীকে বাঁচানো যায়নি।
ইতিমধ্যে ওই রেসপিরেটরি আইসিইউ-র প্রধানকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। বদলি করা হয়েছে হাসপাতাল সুপারকেও। এছাড়াও দু’জন চিকিৎসককে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। হাসপাতাল পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার দায়িত্বপ্রাপ্ত ঠিকাদারকে কালো তালিকাভুক্ত করা হয়েছে, জানিয়েছেন ঘটনার পর হাসপাতাল পরিদর্শনে আসা তেলেঙ্গানার গ্রাম উন্নয়ন ও পঞ্চায়েত রাজ মন্ত্রী।
এদিকে সরকারি হাসপালের রোগী ও কর্মীরা জানিয়েছেন, হাসপাতালের নর্দমা বন্ধ করে সংস্কারের কাজ চলছে, এই কারণেই ইঁদুরের উপদ্রব বেড়ে গেছে। রোগীকে ইঁদুরে কামড়ানোর ঘটনা নাকি হামেশাই ঘটে। কর্তব্যরত এক নার্সের বক্তব্য, এক মিনিটের জন্য অসতর্ক হলেই ইঁদুর কামড়াতে পারে। যতক্ষণ না নর্দমার কাজ শেষ হচ্ছে ততক্ষণ নাকি এটা চলবে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.