সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দীর্ঘ বিতর্কের পর শেষমেশ রোগ প্রতিরোধক হিসেবে ছাড়পত্র পেল পতঞ্জলির করোনিল (Coronil)। বুধবার আয়ুশ মন্ত্রকের তরফে জানানো হল, প্রতিরোধক হিসেবে বিক্রি করা যাবে এই ওষুধ। কিন্তু এতে করোনামুক্তি ঘটবে বলে কোনওভাবেই প্রচার করা যাবে না।
জুনেই ধুমধাম করে ‘করোনা বধে’র ওষুধ হিসেবে তুলে ধরা হয়েছিল করোনিলকে। সাংবাদিক সম্মেলনে বাবা রামদেব জানিয়েছিলেন, এই আয়ুর্বেদিক ওষুধের প্রয়োগে মাত্র সাতদিনে ১০০ শতাংশ করোনা রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন। পতঞ্জলির সেই ঘোষণার পর থেকেই বিতর্ক দানা বাঁধে। আয়ুশ মন্ত্রকের তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল, যতক্ষণ না তারা ওষুধটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখছে, ততক্ষণ এর সমস্ত প্রচার ও বিজ্ঞাপন বন্ধ রাখতে হবে। এমনকী পতঞ্জলির থেকে গবেষণার সমস্ত তথ্যও চেয়ে পাঠানো হয়েছিল। সেই সবকিছু পরীক্ষার পরই এদিন আয়ুশ মন্ত্রক জানিয়ে দেয়, এটিকে করোনা বধের (Coronavirus) ওষুধ বলা যাবে না। রোগ প্রতিরোধক ওষুধ হিসেবেই বিক্রি করা যেতে পারে।
কেন্দ্রের ছাড়পত্র মিলতেই পতঞ্জলি জানিয়ে দেয়, আজ থেকেই করোনিলের কিট খোলা বাজারে বিক্রি হবে। এই ওষুধ শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেকটাই বাড়িয়ে তুলবে। অর্থাৎ করোনার বিরুদ্ধে লড়তে মানুষকে সাহায্য করবে করোনিল। একইসঙ্গে যোগগুরু বাবা রামদেব স্পষ্ট করে দেন, মন্ত্রকের নির্দেশ মেনেই ওষুধটির বিজ্ঞাপন তৈরি হবে।
উল্লেখ্য, করোনা বধের ওষুধ হিসেবে করোনিলের প্রচারের পরই পতঞ্জলির বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ উঠেছিল উত্তরাখণ্ড-রাজস্থান-সহ একাধিক রাজ্য। রামদেব-সহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে জয়পুরের জ্যোতিনগর থানায় লিখি অভিযোগও দায়ের করা হয়েছিল। তারপরই Coronil নিয়ে ডিগবাজি খায় পতঞ্জলি। আয়ুর্বেদিক সংস্থা দাবি করে, Coronil-কে তারা কখনওই করোনার ওযুধ বলেনি। বরং জানিয়েছিল, শরীরে মারণ ভাইরাসের সঙ্গে লড়াই করার জন্য প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোই এই ওষুধের মূল কাজ। শেষমেশ সেই রোগ প্রতিরোধক হিসেবেই করোনিল বিক্রির সবুজ সংকেত পেল পতঞ্জলি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.