সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দূরপাল্লার ট্রেনের খাবারের মান নিয়ে যাত্রীদের অভিযোগের শেষ নেই। কখনও তিনদিনের বাসি খাবার খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন যাত্রীরা, তো কখনও আবার খাবার থেকে মেলে মরা টিকটিকি। রেলমন্ত্রকের আশ্বাস মিলেছে। কিন্তু খাবারের মানের উন্নতি হয়নি। এবার শোনা যাচ্ছে, রেলের খাবারের বড়সড় ভোল বদলাতে চলেছে। ঢেলে সাজানো হবে প্যান্ট্রি। যেখানে মিলবে শুকনো খাবার। ঠিক যেমনটা মেলে বিমানে।
যাত্রীদের কথা ভেবে বিমানের মতোই পরিষেবা দিতে চাইছে রেলমন্ত্রক। এক্কেবারে বিমানের ধাঁচেই হবে ট্রেনের খাবারের মেনু কার্ড। থাকবে বিভিন্ন ধরনের শুকনো খাবারের সরঞ্জাম। তবে এই উন্নতমানের পরিষেবা পেতে অতিরিক্ত অর্থও খরচ করতে হবে যাত্রীদের। অর্থাৎ রেলের খাবারের দাম বৃদ্ধির ইঙ্গিতও দিয়ে রাখল ভারতীয় রেল। জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই নয়া মেনু তৈরি করে বোর্ডের কাছে জমা দিয়েছে রেলওয়ে কমিটি। এই রিপোর্টের ভিত্তিতেই নতুন মেনু প্রকাশ করবে রেল বোর্ড।
রেলওয়ে কমিটিতে ঠিক হয়েছে, ট্রেনে যাত্রীদের কোনও গ্রেভি জাতীয় খাবার পরিবেশন করা হবে না। অর্থাৎ ডাল বা ডিম, মাংসের ঝোল আর মিলবে না দূরপাল্লার ট্রেনে। তার পরিবর্তে মেনুতে নিরামিষ বিরিয়ানি, রাজমা চাল, হাক্কা নুডলস, পোলাও এবং লাড্ডু রাখার পরামর্শ দিয়েছে কমিটি। রাজধানী, শতাব্দীর মতো এক্সপ্রেসের প্রায় ২০ শতাংশ যাত্রীই রেলের খাবার খেতে চান না। সেই কারণে এই ট্রেনগুলিতে প্যান্ট্রির খাবার আর বাধ্যতামূলক নেই। দিল্লি-ফিরোজপুর শতাব্দী এক্সপ্রেস এবং বিহার সম্পর্কক্রান্তি এক্সপ্রেসে নতুন কেটারিং সিস্টেমের পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরু হয়ে গিয়েছে। পাশাপাশি খাবারের মান ও কর্মীদের আচরণ সম্পর্কে অনলাইনেও যাত্রীদের প্রতিক্রিয়া জানার চেষ্টা করছে মন্ত্রক। সবমিলিয়ে রেল পরিষেবার মানোন্নয়নের জন্য সবরকম প্রয়াস চালাচ্ছে ভারতীয় রেল। এরই মধ্যে খাবারের দাম বাড়ার খবরে মন খারাপ মধ্যবিত্ত যাত্রীদের।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.