সুব্রত বিশ্বাস: বাজেটে রেলযাত্রীদের সুরক্ষায় তেমন নজর দেওয়া হল না। যাত্রীদের এই আক্ষেপের মাঝে আরপিএফকে আরও কড়া নজরদারিতে বাঁধছে রেল। আরপিএফ কর্মীদের বেআইনি কাজকর্ম বন্ধ করতে এবার তাঁদের উর্দিতে লাগানো হচ্ছে ক্যামেরা। ডিউটিতে যোগ দেওয়া থেকে শুরু করে একেবারে শেষ করা পর্যন্ত ওই ক্যামেরা চালু থাকবে। ইচ্ছা করলেও ওই ক্যামেরা বন্ধ করা যাবে না। ফলত ঘুরিয়ে হলেও যাত্রীসুরক্ষা নিশ্চিতের দিকেই হাঁটল রেল।
[ লম্বায় ৮ ফুট ২ ইঞ্চি, অতিকায় ‘কাবুলিওয়ালা’কে দেখতে মেলা ভিড় সিউড়িতে ]
প্রথম পর্যায়ে এই ক্যামেরা লাগানো হবে ট্রেন এসকর্ট বাহিনীর উর্দিতে। ট্রেনে যাত্রীদের হয়রান করার বহু অভিযোগ উঠেছে কর্তব্যরত এসকর্ট বাহিনীর উপর। টাকা তোলা, বেআইনি পণ্য তোলার সহযোগিতা করা, অসুবিধার সমনে পড়া যাত্রীদের সহযোগিতা না করার বহু অভিযোগ জমা পড়েছে রেলের ঘরে। এতদিন অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত হত এই ঘটনার। তবে এবার প্রমাণ থাকবে হাতে গরম। পুরো অব্যবস্থার চিত্র ধরে রাখবে ক্যামেরাই। ক্যামেরার অবস্থান একেবারে বুকের উপর হবে, যাতে কোনও অবস্থাতেই অপরাধ নজর না এড়ায়। ডিউটিতে যোগ দেওয়ার সময় ক্যামেরার সামনে আরপিএফ কর্মীকে স্বীকারোক্তি দিতে হবে, কাজের শেষে পোস্টে জমা করার পরই বন্ধ হবে ক্যামেরা।
[ হিন্দু না মুসলিম? ধর্মের গেরোয় দেড় দিন আটকে বৃদ্ধার সৎকার ]
সারাদিনের সব গতিবিধির চিত্রই ধরা থাকবে ক্যামেরাতে। ২৪ ঘণ্টার ছবি চিপবন্দি হবে। তা নিয়মিতভাবে পরীক্ষা করবেন পদাধিকারীরা। দিল্লি পুলিশের এই ব্যবস্থা চালু হওয়ার পরই তা সফল হওয়ার পর রেল এই পরিকল্পনা নিয়েছে। কনস্টেবল থেকে অফিসার সবার উর্দিতেই থাকবে ক্যামেরা। আমেদাবাদ ডিভিশনে পাইলট প্রোজেক্ট হিসাবে এই ব্যবস্থা চালুর পরই তা ভারতের অন্য জোনগুলিতেও চালু করা হবে। বছরে আরপিএফ বাহিনীর জন্য ৫০০ কোটি টাকা খরচ হয়। এই পরিমাণ খরচের পরও পদের অপব্যবহার করার বহু অভিযোগ ওঠে এঁদের বিরুদ্ধে।
[ অমানবিক ট্যাক্সিচালক! মৃতপ্রায় যুবককে গাড়িতে তুলেও রাস্তায় ফেলে চম্পট ]
ছবি-প্রতীকী
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.