সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আরব সাগরে ভেঙে পড়া Mig-29K বিমানের ধ্বংসাবশেষ মিললেও, এখনও খোঁজ পাওয়া যায়নি দ্বিতীয় পাইলট নিশান্ত সিংয়ের। রবিবার এক বিবৃতিতে এমনটাই জানিয়েছে ভারতীয় নৌসেনা (Indian Navy)।
২৬ নভেম্বর বিকাল ৫টা নাগাদ আরব সাগরে যুদ্ধবিমানবাহী রণতরী আইএনএস বিক্রমাদিত্য থেকে পাড়ি দিয়েছিল MiG-29K ট্রেনার বিমানটি। তারপরই দুর্ঘটনার কবলে পড়ে সেটি। শেষ মুহূর্তে দুই চালক বিশিষ্ট বিমানটি থেকে একজন পাইলট বেরোতে সক্ষম হলেও নিখোঁজ অন্যজন। তাঁর খোঁজে অভিযান চালাচ্ছে নৌসেনা। এই ঘটনায় দ্রুত তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে নৌসেনা। এদিকে, নিখোঁজ দ্বিতীয় পাইলটের খোঁজে ৯টি যুদ্ধজাহাজ ও ১৪টি বিমান মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে নৌবাহিনী। ইতিমধ্যে ভেঙে পড়া বিমানটির ল্যান্ডিং গিয়ার, টার্বো চার্জার, ফুয়েল ট্যাঙ্ক, ইঞ্জিন, উইং ইঞ্জিন-সহ বেশ কিছু জিনিস চিহ্নিত করা হয়েছে। সেগুলো উদ্ধার করা হচ্ছে। পিটিআই সূত্রে খবর, গত একবছরে এনিয়ে তিনটি Mig-29K বিমান দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে। ফলে রীতিমতো উদ্বেগ ছড়িয়েছে নৌসেনার শীর্ষকর্তাদের মধ্যে। তাই, কী ভাবে বিমান ভেঙে পড়ল, কোনও যান্ত্রিক ত্রুটি ছিল কিনা বা কোনও গাফিলতি ছিল কিনা, তা খতিয়ে দেখার জন্য উচ্চ-পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, মিগ সিরিজের বিমান ভেঙে পড়ার ঘটনা নতুন কিছু নয়। এই বিমান চালাতে গিয়ে মৃত্যুও হয়েছে বায়ুসেনার বহু পাইলটের। ২০১৯-এর জুন মাসেও এমনই একটি মিগ-২৯কে বিমান ভেঙে পড়েছিল। মিগ সিরিজের বিমানগুলি ভারতীয় বায়ুসেনার অনেক সাফল্যের সঙ্গীও। কারগিল যুদ্ধে সাফল্যের অন্যতম চাবিকাঠি ছিল মিগ যুদ্ধ বিমান। আবার সম্প্রতি বায়ু সেনা অভিনন্দন বর্তমান মিগ-২১ বিমানে চড়েই পাকিস্তানে ঢুকে হামলা চালিয়েছিলেন। সত্তরের দশকের প্রথম দিকে ‘মিকোয়ান গুরেভিচ’ ডিজাইন ব্যুরো এই মিগ বিমানের নকশা তৈরি করেছিল। এটি একটি চতুর্থ প্রজন্মের সুপারসোনিক জেট ফাইটার। এর প্রস্তুতকারক সোভিয়েত ইউনিয়ন। ১৯৮৩ সালে তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের বিমান বাহিনীতে এই বিমান প্রথম নিযুক্ত করা হয়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.